Child Aboused: রোজ দুপুরে বাড়িতে আসত ‘পাড়ার দাদু’! মিষ্টিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে লাগাতার ধর্ষণ নাবালিকাকে

Sonarpur: বাচ্চাটির বাবা কাঁদতে-কাঁদতে অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

Child Aboused: রোজ দুপুরে বাড়িতে আসত 'পাড়ার দাদু'! মিষ্টিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে লাগাতার ধর্ষণ নাবালিকাকে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 12:47 PM

সোনারপুর: প্রতিদিন দুপুরেই পাশের পাড়ার দাদু আসত মিষ্টি নিয়ে। আর বাচ্চাটিও মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসত। তবে দাদুর কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার পরই আর কোনও হুঁশ থাকত না ছোটো মেয়েটির। ঠিক সেই সুযোগেই দাদুর যৌন লালসার শিকার হতে হত তাকে। ঘটনার বিষয় জানাজানি হতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।

ঘটনাস্থান দক্ষিণ ২৪ পরগনা। নির্যাতিতা ওই বাচ্চাটি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। বর্তমানে তার মা গর্ভবতী হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। আর সেই সুযোগেই প্রায় প্রতিদিন দুপুরে তাঁর বাড়িতে যেত ওই দাদু।

জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্য়ক্তি একটি মিষ্টি দোকানে কাজ করত। বাচ্চাটির বাড়িতে যখনই সে যেত সঙ্গে করে মিষ্টি নিয়ে আসত। তবে ওই মিষ্টির ভিতর মেশানো থাকত ঘুমের ঔষুধ। না বুঝে মেয়েটি দাদুর কাছ থেকে মিষ্টি খেয়েও নিত। আর তারপরই অচৈতন্য হয়ে পড়ত সে। এরপর সেই সুযোগে ওই ব্যক্তি তার সঙ্গে জঘন্য কাজটি করত।

সূত্রের খবর, ওই বাচ্চাটিকে প্রায় একমাস ধরে ধর্ষণ করছিল অভিযুক্ত। ঘটনার বিষয়ে নির্যাতিতার ঠাকুমা বলেন, “রোজই বাড়িতে ওই লোকটি আসত। এসে আমার নাতনিকে মিষ্টি দিয়ে যেত। আর সেই মিষ্টি আমার নাতনি খেয়ে নিত। আমি বাড়ি থাকতাম না কাজে যেতাম, আমার ছেলেও বাইরে থাকত। ওর মা থাকত মামার বাড়িতে। সেই সুযোগেই বাড়িতে আসত লোকটি। তারপর এই নোংরা কাজ করে। মেয়ে আমদের কিছু বলতে পারেনি কারণ ওকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লোকটি।” অন্যদিকে, কাঁদতে কাঁদতে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “ঘরে একা থাকার সুযোগে আমার মেয়ের উপর যেভাবে অত্যাচার করেছে আমি চাই ওর ফাঁসি হোক বা কঠীণ শাস্তি হোক।”

কিন্তু এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে নির্যাতিতা নাবালিকা। তখনই বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের। তারপরই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় গোটা বিষয়টির সম্বন্ধে অভিযোগ জানানো হয়। নাবালিকার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রবিবার হাসাপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরই থানায় এসে সে পুলিশকে সবকিছু জানায়।অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছে নির্যাতিতার মা বাবা।

এদিকে, বাঁকুড়াতেও শারীরিক নির্যাতনের শিকার এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার এক ছেলে রয়েছে। কিছুদিন ধরেই তাঁর বাড়িতে কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রী। ঘরের কাজ বেশি থাকায় ওই রাজমিস্ত্রীকে সহযোগিতা করার জন্য একজন সহযোগীও কাজ করছিল সেখানে। এরপর গতকাল সন্ধে নাগাদ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সহযোগী ওই মিস্ত্রী বৃদ্ধার উপর এই নোংরা অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতার ছেলে বাড়িতে চলে আসায় সে বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেয়। ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় (Bishnupur Police Station) অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার ছেলে। ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।

আরও পড়ুন: TMC in Delhi: ‘অমিত শাহ জবাব চাই’, নর্থ ব্লকের সামনে ধর্নায় বসলেন তৃণমূল সাংসদরা