Jadavpur Lok Sabha: আরাবুল-শওকতের ‘দ্বন্দ্ব’, এবারের ভোটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ‘ক্ষীর’ খেয়ে যাবে বিজেপি?
Jadavpur Lok Sabha: আবার যাদবপুর লোকসভার নিরিখে বিচার করলে সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপিরও। কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর উত্তর ও সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় বিজেপির ভালো প্রভাব রয়েছে।
ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস ও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেলবন্দি দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। সোমবার আবার হাইকোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাঁর আইনজীবী। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার প্ররোচনাতেই নাকি পুলিশ অতিসক্রিয়। এরপর থেকেই ভোটের আগে কার্যত নয়া মোড় ভাঙড়ের রাজনীতিতে। আরাবুল- শওকত ‘বিবাদ’ যে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট জমিয়ে দেবে বলার অপেক্ষা রাখে না।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাঙড় বিধানসভা। ফি বছর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদরা অনেক বেশি মার্জিনে লিড পেতেন এই ভাঙড় থেকে। যেখানে ভোট মেশিনারি ছিলেন কার্যত আরাবুল। নতুন করে শওকত মোল্লা দায়িত্ব নিলেও ভোটে জেলবন্দি আরাবুল। কতটা প্রভাব পরবে ভোটের বাক্সে? সেই নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ছে ভাঙড় জুড়ে।
আরাবুলের অবর্তমানে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি করে চলেছেন শওকত মোল্লা। দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়লেও আরাবুল অনুগামীদের মধ্যে কিন্তু সেই উন্মাদনা নেই বললেই চলে। কানাঘুষোও শোনা যাচ্ছে, ‘নেতা’ আরাবুল না ফিরলে রাজনীতি করবেন না বলেও গোপনে তাঁরা জানাচ্ছেন। তবে প্রকাশ্যে ‘স্পিকটি নট’। ফলে আরাবুল অনুগামীরা ভোটের সময় ‘সাইলেন্ট কিলার’ হিসাবে কাজ করলে লোকসভা ভোটে আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান ভাঙড় থেকে অনেক বেশি ভোট পেতে পারেন বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের। তবে ভোটে এই সব সমীকরণের প্রভাব পড়বে না বলেই পরিষ্কার জানিয়েছেন শওকত মোল্লা। তিনি বলেছেন, “মানুষ শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামকে দেখে ভোটে দেন না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেন। তাই ভোটে প্রভাব পড়বে না।”
যাদবপুর লোকসভার নিরিখে বিচার করলে সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপিরও। কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর উত্তর ও সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় বিজেপির ভাল প্রভাব রয়েছে। আর যদি সংখ্যালঘু ভোট বামে যায় তাহলে অন্য সমীকরণ। তবে সিপিআইএম, আইএসএফের ভোট কাটাকাটি এবং সর্বপরি তৃণমূলের ‘গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে’র জন্য ‘বেনিফিট অফ ভোট’ বিজেপির দিকে যাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।