Jaynagar: বিকাল ৫.১০এর পরেই সব ঘটনা! নাবালিকাকে আড় চোখে দেখেছিল অভিযুক্ত, তারপর কী করে? পুলিশের হাতে বিস্ফোরক ফুটেজ
Jaynagar: পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে খেয়াল করতে থাকে কোনদিকে যাচ্ছে নাবালিকা। মেয়েটি বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক ৪ মিনিট পর সাইকেল নিয়ে বেরয় অভিযুক্ত। মেয়েটিকে অনুসরণ করতে থাকে সে। এর পরের ঘটনা কী সেটাই জানতে চাইছেন পুলিশ কর্তারা
কুলতলি: জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশের হাতে এল এক সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটা টাইমলাইন তৈরি করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মহিষমারি বাজারে মালখানার দোকানে কাজ করছে অভিযুক্ত। বিকাল ৫টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ মহিষমারি বাজার এলাকা দিয়ে যায় কুলতলির নাবালিকা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত রাস্তার দিকে তাকিয়ে খেয়াল করতে থাকে কোনদিকে যাচ্ছে নাবালিকা। মেয়েটি বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক ৪ মিনিট পর সাইকেল নিয়ে বেরয় অভিযুক্ত। মেয়েটিকে অনুসরণ করতে থাকে সে। এর পরের ঘটনা কী সেটাই জানতে চাইছেন পুলিশ কর্তারা।
ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী, নাবালিকার বান্ধবীর বয়ান। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাবালিকা বান্ধবী জানিয়েছে, তার সঙ্গেই রোজ টিউশন থেকে বাড়ি ফিরত সে। ঘটনার দিন তার বাবা টিচারের বাড়িতে দিয়ে এসেছিলেন। ফেরার সময়ে তার সঙ্গেই ফিরছিল নাবালিকা। সে সময়ে নাবালিকার বান্ধবী একটি দোকানে কেনাকেটা করতে ঢোকে, নাবালিকা এগিয়ে যায়। বান্ধবী জানাচ্ছে, নির্যাতিতা তাকে ইশারা করে বলে চলে যেতে। এরপর ওই যুবকের সাইকেলে উঠে চলে যায়। এক্ষেত্রে কেন ওই নাবালিকা অভিযুক্তের সাইকেলে উঠত, তার সঙ্গে কোনও পূর্ব পরিচয় ছিল কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ শনিবার দিনভর উত্তপ্ত থাকে জয়নগর। শুক্রবার রাতে জয়নগরে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, সন্ধ্যা থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। পরিবার স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানিয়েছিল। পরিবারের আক্ষেপ, শুরুতে গুরুত্ব দেওয়া হলে তাঁদের মেয়েকে বাঁচানো যেত। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর। থানায় ভাঙচুর থেকে শুরু করে আগুন, উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। যখন সুরতহাল রিপোর্ট বানানো হচ্ছিল, তখনও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।