Kultali Murder: পাশে দাঁড়িয়ে বাবার হাত তখনও কাঁপছে, জড়িয়ে যাচ্ছে জিভ! থানায় দশ বছরের ছেলেটা গড়গড় করে বলল বাবার নৃশংসতার কীর্তি
Kultali Murder: প্রেমিকাকে মেরে ছেলের হাত ধরেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘড়ির কাঁটায় ৬টা বেজে ১০ মিনিট। থানায় তখন চরম ব্যস্ততা। আচমকাই হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন এক যুবক। সঙ্গে দশ বছরের এক ছেলে। যুবকের মাথার চুল উসকো-খুসকো, চোখ দুটো লাল। কথা বলার সময়ে জড়িয়ে যাচ্ছে জিভ। টেবিলে বসে থাকা থানার ‘বড়বাবু’কে গিয়ে যুবকের সটান স্বীকারোক্তি, ‘স্যার আমি ওকে মেরে দিয়েছি। বডি ঘরেই রাখা রয়েছে….’ সঙ্গে সঙ্গেই দশ বছরের বাচ্চা ছেলেটাও বলে ওঠে, ‘বাবা আমার ধর্মপিসিকে মেরে দিয়েছে…’ কথাগুলো শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান পুলিশ কর্তারা। আশাপাশের সকলেই তখন বাকরুদ্ধ। প্রেমিকাকে মেরে ছেলের হাত ধরেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।
আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে তখন থানার আইসি যুবককে সঙ্গে নিয়েই রওনা দেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়। যুবক নিজেই বেড়ার দরজা খুলে ‘বড়বাবু’কে ঘরে ঢোকান । জ্বালিয়ে দেন লাইট। পুলিশ কর্তারা দেখেন, খাটের ওপর চিত হয়ে পড়ে রয়েছে দেহটা। শাড়িটা এলোমেলো। কম্বল থেকে বেরিয়ে রয়েছে মুখ। অভিযুক্ত যুবক পরমেশ্বর হালদার তখন গড়গড় করে বলে চলেছেন আসল ঘটনা।
যাঁকে ‘খুন’ করেছেন তিনি, তাঁর নাম করুণা গায়েন। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর কলকাতায় কাজে যাওয়ার সূত্রে আলাপ। কুলতুলির বেনেরহাট এলাকায় তাঁদের বাড়ি। পরমেশ্বর কলকাতায় দিনমজুরের কাজ করতেন। এদিকে, রায়দিঘির বোগরাবানি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি করুণা গায়েনের। তিনিও কলকাতায় কাজ করতেন। এই সূত্রেই দু’জনের আলাপ। ৩ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। এলাকার লোকজনের কাছে পরমেশ্বর করুণাকে ধর্ম বোন বলে পরিচয় দিতেন।
তবে বছর দুয়েক আগেই করুণার বিষয়ে জানতে পেরে গিয়েছিলেন পরমেশ্বরের স্ত্রী। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি হয়। স্বামীর ঘর থেকে চলে যান পরমেশ্বরের স্ত্রী। পরমেশ্বরের বাড়িতে করুণার যাতায়াত আরও বেড়ে যায়। পরমেশ্বর জানাচ্ছেন, করুণা তিনদিন ধরে জালাবেড়িয়াতেই ছিলেন। তারই মধ্যে তিনি জানতে পারেন, করুণা অন্য এক পুরুষের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই নিয়েই মঙ্গলবার দুপুরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়। সন্ধ্যায় তা চরমে উঠলে পরমেশ্বর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন করুণাকে। পুলিশের কাছে তেমনটাই জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরমেশ্বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।





