TMC Joining: ভোট মিটতেই শুরু দলবদলের পালা! ‘উন্নয়নের যজ্ঞে’ সামিল হতে তৃণমূলে যোগ
Mathurapur TMC: কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার জন সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। বিজেপির একজন সদস্য, সিপিএমের দু'জন সদস্য ও একজন নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। শুক্রবার তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মথুরাপুরে তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ বাপি হালদার।
মথুরাপুর: লোকসভা ভোট সবে মিটেছে। মথুরাপুর থেকে ব্যাপক মার্জিনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। ২ লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের বাপি হালদার। আর ভোটপর্ব মিটতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে শুরু দলবদলের পালা। কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার জন সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। বিজেপির একজন সদস্য, সিপিএমের দু’জন সদস্য ও একজন নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। শুক্রবার তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মথুরাপুরে তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ বাপি হালদার।
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এই কৃষ্ণচন্দ্রপুর থেকেই বিরোধীদের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আজ সেই পঞ্চায়েতেই বিরোধীদের ঘরে ভাঙন ধরাল শাসক শিবির। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে মোট ১৫টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৬টি আসন, সিপিএম পেয়েছিল ৩টি আসন। সিপিএম সমর্থিত ২ নির্দল প্রার্থীও জিতেছিলেন। আর তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল চারটি আসন। লোকসভা ভোটের আগেই এলাকার বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার আরও চার পঞ্চায়েত সদস্য শাসক দলে নাম লেখালেন। ফলে তৃণমূল-বিরোধী শিবির এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে বসেছে এই পঞ্চায়েতের বোর্ডে।
সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়ত সদস্য জোবেদা বিবি জানাচ্ছেন, এলাকার উন্নয়নে সামিল হতেই তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। বাকি যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্যদেরও একই কথা। তাঁরাও উন্নয়নের জোয়ারে সামিল হতেই তৃণমূলে এসেছেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মথুরাপুরের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ বাপি হালদারও। তাঁর বক্তব্য, ‘উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতেই তাঁরা যোগদান করেছেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানালাম দলে। আগামী দিনে মানুষের পাশে থাকার জন্য তাঁদের সামনে রেখেই আমরা লড়ব।’
যদিও এই দলবদলের পর শাসক শিবিরকে বিঁধতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব নায়েকের অভিযোগ, ভয় দেখিয়েই পঞ্চায়েতের ওই জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।