Sonarpur Kidnapping: মাদক খাইয়ে হোটেলে, তারপর সোজা অন্ধ্রপ্রদেশে, ৭ লক্ষ টাকার জন্য সোনারপুরের যুবকের ভয়ঙ্কর পরিণতি
West Bengal: কর্মসূত্রে সোনারপুরের বাসিন্দা ঊষারানি। তিনি তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে চাকরি করেন। পেশার খাতিরে কর্মসংস্থানের (জব প্লেসমেন্ট) বিষয়টিও দেখেন তিনি।
সোনারপুর: এ যেন সিনেমার গল্প! টাকা দেওয়ার নামে সোনারপরের এক যুবককে ডেকে অপহরণ। পুরে পুলিশি তাৎপরতায় ভাউজ্যাক থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে?
কর্মসূত্রে সোনারপুরের বাসিন্দা ঊষারানি। তিনি তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে চাকরি করেন। পেশার খাতিরে কর্মসংস্থানের (জব প্লেসমেন্ট) বিষয়টিও দেখেন তিনি। জানা গিয়েছে ঊষারানি কয়েকজনকে চাকরি দিয়েছিলেন। সেই কমিশন বাবদ বেশ কিছু টাকা পেতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই রকমই এক কাস্টমার ওই মহিলাকে টাকা দেওয়ার জন্য হাওড়াতে ডেকে পাঠান। তাঁকে বলা হয় সাত লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে টাকা আনার জন্য ঊষারানি নিজে না গিয়ে ভাই পুক্কালি আমিনকে পাঠান সেখানে।
অভিযোগ, পুক্কালি হাওড়াতে পৌঁছালে তাঁকে প্রথমে একটি হোটেলের ঘরে আটকে রাখা হয়। তারপর ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, জোর করে ঘুমের বড়িও খাইয়ে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। এরপর একটি গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্ধ্রপ্রদেশে। গোটা ঘটনায় ১২ জুন সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিশের একটি দল। তদন্ত এগোতেই তাঁরা জানতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ পৌঁছে যায়। আর এই সকল বিষয় চলতে থাকার মধ্যেই পুক্কালি আমিনের বাড়িতে একটি ফোন আসে। মুক্তিপণ হিসেবে ৭০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা দ্রুত পাওয়ার জন্য পুক্কালিকে মারার ভিডিও পাঠানো হয়। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশে পৌঁছে স্থানীয় এক অটোচালককে ফিট করে পুলিশ। তাদের কথামতো অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সেই টোটোচালক। তিনি জানান যে, মুক্তিপনের টাকা দেওয়ার জন্য এসেছেন। এরপর একটি হোটেলে যান তিনি। উপস্থিত থাকেন পুলিশকর্মীরাও। অন্ধ্রপ্রদেশের হোটেলের ঘরেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় অপহৃতকেও। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে শনিবার সোনারপুরে নিয়ে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত। তাদের সন্ধানেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।