Kultali Chaos: গোটা শরীরের রক্ত, ভিজে গিয়েছে মাটিও, যুবকদের করুণ অবস্থায় চোখে জল প্রতিবেশীদেরও
Kultali: ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার ৩৬ নম্বর মণ্ডলের লাট এলাকায়। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় পাইপ বসানো হচ্ছিল সেই জায়গাটি নিয়ে লক্ষীন্দরের আপত্তি ছিল।
কুলতলি: সরকারি প্রকল্পের পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বচসা। সেই বচসার জেরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুই ব্যক্তিকে জখমের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তের নাম লক্ষিন্দর মাঝি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তিনিই আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কী কারণে বিবাদ?
ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার ৩৬ নম্বর মণ্ডলের লাট এলাকায়। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় পাইপ বসানো হচ্ছিল সেই জায়গাটি নিয়ে লক্ষীন্দরের আপত্তি ছিল। তখনই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হন নিরাপদ নস্কর ও ভগিরথ হালদার। তাঁদেরকে উদ্ধার করে জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা।
এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত লক্ষ্মীন্দর মাঝিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশের গাড়ির চালকও। তাঁর নাম অতনু গিরি। আহত ওই পুলিশ গাড়ির চালক আশঙ্কাজনক কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি।এ দিকে, অভিযুক্ত লক্ষ্মীন্দর মাঝিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কুলতলি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি কুলতলির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আহত এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা জলের পাইপে কাজ করছিলাম। ওর জায়গার উপর দিয়ে পাইপ গিয়েছে। সেই কারণে আমায় প্রথমে বাঁশ দিয়ে মেরেছে। তারপর আমার এক প্রতিবেশী আসে বাঁচানোর জন্য তাঁকেও বাঁশপেটা করে।” অপরদিকে, আরও প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমাদের এক শ্রমিক কাজ করছিল। আচমকা ওকে বাঁশ দিয়ে মারে। তখন ও পড়ে যায়। গোটা শরীর থেকে রক্ত বেরতে শুরু করে। এরপর ওকে যে বাঁচাতে গিয়েছিল তাঁকেও বাঁশপেটা করে। পরে পুলিশ গেলে পুলিশের গাড়ির চালকও আহত হন।”