West Bengal Lockdown: সক্কাল-সক্কাল ব্যাগ হাতে মদের দোকানের বাইরে লম্বা লাইন! অতঃপর পুলিশের লাঠির মুখে সুরাপ্রেমীরা
আভাসটা মিলেছিল শনিবার বিকালের পর থেকেই (West Bengal Lockdown)। রবিবার থেকে আগামী ১৫ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা হতেই শহর-জেলার বিভিন্ন মদের দোকানের (Liquor Shop) ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো।
বারুইপুর: আভাসটা মিলেছিল শনিবার বিকালের পর থেকেই (West Bengal Lockdown)। রবিবার থেকে আগামী ১৫ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা হতেই শহর-জেলার বিভিন্ন মদের দোকানের (Liquor Shop) ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। হাতে ব্যাগ, মুখে মাস্ক- মদের দোকানের বাইরে শয়ে শয়ে মানুষের ভিড়। লাইন পৌঁছে যাচ্ছে কোথায়! লকডাউনের প্রথম দিন সকালেও ধরা পড়ল সেই ছবি। ভিড় সামলাতে রীতিমতো লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে। এই দৃশ্য ধরা পড়ল কামালগাজি বাইপাসের ধারে।
কামালগাজি বাইপাসের ধারে মদের দোকানে সুরা প্রেমীদের ভিড় লক্ষ্য করার মতো ছিল। সকালে এমনিতেই মানুষ বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন। তার ওপর মদের দোকানের বাইরের লম্বা লাইন এলাকায় তৈরি করে জটলা। ভিড় হঠাতে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানl একইভাবে বারুইপুরের পাঁচটি মদের দোকান বন্ধ করা হয়।
জেলা থেকে শহর- সর্বত্র কড়া পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিষ্ণুপুর খড়িবেড়িয়া, কবরডাঙা বাজারে পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়। একাধিক চায়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেসব মিষ্টির দোকান সকাল দশটার আগে খুলেছে, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারইপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার করা হয়েছে ।
করোনা আতঙ্কে সক্কাল সক্কাল বাজার সেরে নিতে চাইছেন অনেকেই। আর তাতেই সাতসকালে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে বাজারে ভিড়ের ছবি।
বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাস্তাঘাট শুনশান হলেও, বাজারহাটে ভিড় উপচে পড়ছে ক্রেতাদের। সকালে বাজার-দোকান এবং হাটে ভিড় চোখে পড়ার মতো। অনেকেই মুদি দোকানের পণ্যের তালিকা তৈরি করে ভিড় জমিয়েছেন। আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য চাল-ডাল-ডিম ঘরে মজুত করে রাখতে চাইছেন অনেকেই।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। বাজারগুলিতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রীতিমতো লাঠি হাতে রাস্তায় নামে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা, নন্দীগ্রামেও দেখা গেল একই ছবি। সবজি-মাছ বাজারে মানুষের ভিড়।