Anganwadi: বাসি ডিম, পুরনো সোয়াবিন খাওয়াচ্ছিলেন বাচ্চাদের… ‘আমি বুঝতে পারিনি’, ধরা পড়তেই কেঁদে ভাসালেন শিক্ষিকা

Sagar Block: সাগর ব্লকের রামকরচর মহামায়া শিশু বিকাশ কেন্দ্র। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ এলাকার লোকজনের।

Anganwadi: বাসি ডিম, পুরনো সোয়াবিন খাওয়াচ্ছিলেন বাচ্চাদের... 'আমি বুঝতে পারিনি', ধরা পড়তেই কেঁদে ভাসালেন শিক্ষিকা
শিশু বিকাশকেন্দ্রের খাবার নিয়ে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 8:41 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিশুখাদ্যে বেনিয়মের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের রামকরচর মহামায়া শিশু বিকাশকেন্দ্রে। অভিযোগ, এই বিকাশকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা পুরনো সোয়াবিন, রান্না করা বাসি ডিম খাওয়ান শিশুদের। যদি কখনও পর্যবেক্ষকরা আসেন, তা হলে পুরনো খাবার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে ঝামেলা শুরু হয় এলাকায়। শুক্রবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষিকা এই ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন। দাবি করেন, তিনি না বুঝে ভুল করে ফেলেছেন। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান তিনি।

সাগর ব্লকের রামকরচর মহামায়া শিশু বিকাশ কেন্দ্র। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ এলাকার লোকজনের। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, শিশুদের মেয়াদ উত্তীর্ণ সোয়াবিন খাওয়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে বাসি ডিম সেদ্ধ। চাল ও ডালের মানও খুবই খারাপ বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। গত দু’দিন ধরে এই অভিযোগককে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এরইমধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ঈপ্সিতা মাইতি দাস নামে ওই শিক্ষিকার শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা। এমনকী সাগরের বিডিওর কাছেও লিখিত অভিযোগও জানান তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন তদন্তও শুরু করেছে।

এদিকে পরিস্থিতি যে এতটা ঘোরাল হয়ে উঠবে বুঝতে পারেননি ওই শিক্ষিকা। কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকাই খেয়ে যান ঈপ্সিতা মাইতি দাস। তিনি বলেন, “এখন সোয়াবিন আমাদের খুবই কম দেওয়া হয়। আমি এক কিলোর প্যাকেট কিনে কিছুটা এনে পুরনো প্যাকেটটায় রেখেছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি, আমার অন্যায় হয়েছিল। ভুল করেই করেছি। আমি ক্ষমাও চেয়েছি এর জন্য। আমার সহায়িকা নেই। একজনকে ৫০০ টাকা দিয়ে রেখে রান্না করাই। আমি বুঝতে পারিনি ফ্রিজের ডিমেও এতটা সমস্যা হবে। পাড়ারই একজনের বাড়িতে রেখেছিলাম। পরদিন গরম করে দিই। আমি বুঝতে পারিনি এটা এত বড় অন্যায় হয়ে যাবে। আমি সমস্ত মায়ের কাছে ভুল স্বীকারও করেছি।”