Mathurapur: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভালো বন্ধুত্বের’ হাতছানি! হাত বাড়াতেই পাচারের ছক কষল যুবক

Crime: হাতে স্মার্ট ফোন পাওয়ার পরই শুরু ফেসবুক। আলাপ হয় এলাকার বছর পঁচিশের এক যুবকের সঙ্গে।

Mathurapur: সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভালো বন্ধুত্বের' হাতছানি! হাত বাড়াতেই পাচারের ছক কষল যুবক
বৃহন্নলাকে মারধরের অভিযোগ (প্রতীকী চিত্র।)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2021 | 3:18 PM

মথুরাপুর: গরিব দিন মজুর বাবা-মা। স্বপ্ন দেখে মেয়ে লেখা পড়া শিখে অনেক বড় হবে। চাকরি করবে। তাতে আর যাই হোক সংসারের হালটুকু ফিরবে। কিন্তু কাল হলো সোশাল মিডিয়া (Social Media)। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে মেয়ের একটা ভুল ডেকে আনল বড়সড় বিপদ।

মথুরাপুরের রায়দিঘি বিধানসভার বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সুচিত্রা পাইক (নাম পরিবর্তিত)। স্থানীয় একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। করোনার সময়। স্বাভাবিকভাবেই স্কুল বন্ধ রয়েছে। ক্লাশ করার একমাত্র মাধ্যম এখন অনলাইন(Online)। কিন্তু গরিব মজুর পরিবার। কোথায় পাবে স্মার্ট ফোন কেনার এত টাকা? তবুও মেয়ের জোরাজুরির কাছে হার মানতেই হলো বাবা-মাকে। টাকা ধার নিয়ে কোনও মতে জোগাড় হলো স্মার্ট ফোন।

হাতে স্মার্ট ফোন পাওয়ার পরই শুরু ফেসবুক। আলাপ হয় এলাকার বয়স পঁচিশের এক যুবকের সঙ্গে। আলাপ থেকে হয় বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গাঢ় হতেই আসল মতলব বেরিয়ে আসে যুবকের। সুচিত্রাকে নিয়ে পাচারের চেষ্টা করে সে। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরেই আর দেরি করেননি মেয়েটির বাবা-মা। সোজা চলে যান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে। এরপর পুরো বিষয়টি খুলে বলেন তাঁরা।

জানতে পেরেই প্রধান শিক্ষক দ্বারস্থ হন মথুরাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সলিল মণ্ডলের সঙ্গে। বাবা-মাকে কেস চালু করে ছাত্রীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। এরপর তদন্তকারী অফিসার লোকনাথ সরকার রায়দিঘি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ছাত্রীকে উদ্ধার করে আজ ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদলতে পেশ করেন।

ঘটনার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, “করোনা পরিস্থিতির জন্য বিদ্যালয়(School) বন্ধ থাকার কারণে এবং দুর্বিষহ জীবন জীবিকা বাধ্য করছে কিশোর ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য পথ বেছে নিতে। আমরা হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), ফেসবুক (facebook) সহ সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এ বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করে যাবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের সেই সুযোগ না থাকায় তারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রার বাইরে চলে গেছে। ওদের বিদ্যালয় (School) আঙিনায় ফিরিয়ে আনার মত একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহু ছাত্রী বিপথগামী হচ্ছে। নাবালিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। একশ্রেণির পাচারকারী আবার সুন্দরবন(Sundarban) জুড়ে সক্রিয় হচ্ছে। যেভাবে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে পুলিশ- প্রশাসন উদ্ধার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা দ্রুত নিতে পেরেছে তার জন্য মথুরাপুর (Mathurapur এবং রায়দিঘি থানাকে (Raydighi)এবং স্থানীয় প্রশাসনকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাই।

উল্লেখ্য, এর ঠিক কয়েকমাস আগে ডায়মন্ড হারবারের রামচন্দ্রপুরের এক নাবালিকাকে নাচের ‘ট্যালেন্ট শো’তে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিহারে নিয়ে যায় এক মহিলা। সেখানে তাকে কেন্দুয়ার চ্যাইনপুরের আটকে রাখা হয়। অভিযোগ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে সেখানকার বিভিন্ন জায়গায় জলসায় নাচ করানো হত । পরে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: ‘চালক নয়, বর্তমান সরকার বিশ্বাসী অন্য ভূমিকায়’, মহাকাশ ক্ষেত্রে উন্নয়নে নয়া মন্ত্র নমোর