Krishna Kalyani : তৃণমূলের সভার আহ্বায়ক ‘বিজেপি’ বিধায়ক, ‘ঝান্ডা’হীন কৃষ্ণ কল্যাণীকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

Krishna Kalyani : আজ রায়গঞ্জে তৃণমূলের বর্ধিত সভার আহ্বান জানান কৃষ্ণ কল্যাণী। এই নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বলছে, কোন ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় বেরোবেন এই নেতারা।

Krishna Kalyani : তৃণমূলের সভার আহ্বায়ক 'বিজেপি' বিধায়ক, 'ঝান্ডা'হীন কৃষ্ণ কল্যাণীকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের
তৃণমূলের সভায় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কৃষ্ণ কল্যাণী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 10:33 PM

রায়গঞ্জ : জিতেছেন বিজেপির টিকিটে। কিন্তু, রায়গঞ্জের বিধায়ক এখন কোন দলের? তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগের পর থেকে রাজনৈতিক চাপান-উতর ক্রমশ বাড়ছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বলছেন, রায়গঞ্জের বিধায়ক দল পরিবর্তন করেছেন এমন তথ্য জানেন না তিনি। বিজেপি আবার আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ রায়গঞ্জে তৃণমূলের বর্ধিত সভায় দেখা গেল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে (Krishna Kalyani)। শুধু দেখা যাওয়াই নয়, এই সভার আহ্বায়কও তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদের হাকিমের সামনে তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবস নিয়ে বক্তৃতাও দিলেন। এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করল গেরুয়া শিবির।

মুকুল রায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়ার পর কৃষ্ণ কল্যাণীকে সেই পদে বসানো হয়। বিজেপির বক্তব্য, গত বছরের অক্টোবরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ফলে তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করা উচিত নয়। এই নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কৃষ্ণ কল্যাণীর দল পরিবর্তন নিয়ে কোনও তথ্য বিধানসভার কাছে নেই।

তৃণমূল-বিজেপির এই চাপান-উতরের মধ্যেই আজ রায়গঞ্জে তৃণমূলের বর্ধিত সভার আয়োজন হয়। মঞ্চে পোস্টারে লেখা রয়েছে, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর আহ্বানে সাংগঠনিক কর্মিসভা। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যোগ দেন ওই সভায়। আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “শিলিগুড়ি থেকে মালদা যাওয়ার কথা ছিল ফিরহাদ হাকিমের। আমি বললাম মালদায় যাওয়ার পথে রায়গঞ্জে একটু সময় দিতে হবে।” এরপরই তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শহিদ দিবসে কলকাতায় যাওয়ার জন্য ফিরহাদ হাকিম ৫০টি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তার জন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই।” মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।

Krishna Kalyani

কৃষ্ণ কল্যাণীর আহ্বানে সভার আয়োজন

তিনি কোন দলে, এই নিয়ে চাপান-উতরের মধ্যে তৃণমূলের বর্ধিত সভায় রায়গঞ্জের বিধায়কের যোগদান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফিরহাদ হাকিম যুক্তি দিলেন, “উনি রায়গঞ্জের বিধায়ক। রায়গঞ্জের মানুষের পাশে রয়েছেন। দলের থেকেও অনেক বড় যে উনি মানুষের ভোটে জিতেছেন।” আর যাঁকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান-উতর, সেই কৃষ্ণ কল্যাণী বললেন, “উনি রাজ্যের মন্ত্রী। সেজন্য তাঁর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।”

Firhad Hakim

সভায় ফিরহাদ হাকিমের পাশে কৃষ্ণ কল্যাণী

তৃণমূলের সভায় কৃষ্ণ কল্যাণীর উপস্থিতি নিয়ে মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “উনি তৃণমূলের সভায় থাকবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। গত বছরই তো তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।”

কৃষ্ণ কল্যাণীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কোনও নীতি, আদর্শ নেই। দলে নিল। তারপর পাশে বসিয়ে বলছে, ওঁরা তৃণমূলের লোক নয়। মুকুল রায়কে বলছেন, তৃণমূলের লোক নয়। তাহলে মুকুল রায়, কৃষ্ণ কল্যাণীরা কোন ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় বেরোবেন।”

বিজেপি এই নেতা আরও বলেন, “পদ পেয়ে হয়ত একাধিক সুবিধা পাবেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু, মানুষের কাছ থেকে সম্মান পাবেন না। বাড়িতে গিয়ে কী জবাব দেবেন ওই নেতারা। বাড়ির লোক যখন জিজ্ঞাসা করবে, তৃণমূলের নেতারা পাশে বসিয়ে কেন বলছে, তুমি তৃণমূলের লোক নও? এই প্রশ্নের তখন কী উত্তর দেবেন কৃষ্ণ কল্যাণীরা?”