Department of Health: ভয় বাড়াচ্ছে করোনা, রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পর কোভিডের থাবা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে

Raiganj: এক সপ্তাহে শুধুমাত্র রায়গঞ্জ শহরেই প্রায় প্রায় ৪০ জনেরও বেশি আক্রান্ত।

Department of Health: ভয় বাড়াচ্ছে করোনা, রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পর কোভিডের থাবা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে
চলছে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2022 | 2:40 PM

রায়গঞ্জ: রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণের শীর্ষে আছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া। এর পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গ। জলপাগুড়ি, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দিনাজপুরে। এবার রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পর কোভিডের থাবা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তা কোভিড পজিটিভ বলে সুত্রের খবর।

করোনা (Corona) আক্রান্ত প্রিন্সিপাল সহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, জুনিয়ার ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে উদ্বেগও। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরেরও কিছু আধিকারিক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এক সপ্তাহে শুধুমাত্র রায়গঞ্জ শহরেই প্রায় প্রায় ৪০ জনেরও বেশি আক্রান্ত। জেলায় শতাধিক কোভিড আক্রান্ত।

রায়গঞ্জ শহরে ইতিমধ্যেই ৯টি কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করেছে পুরসভা ও প্রশাসন। সর্বত্র চলছে সচেতনতা প্রচার। বাজারে, রাস্তায় পুরসভা ও পুলিশের তরফে কখনো মাস্ক বিলি তো কখনো চলছে কড়াকড়ি। তবুও হুঁশ নেই আম জনতার।

এদিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসক ও আধিকারিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় শুক্রবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে স্যানিটাইজ় করল দমকল। এদিন মহিলা ও পুরুষ হোস্টেল সহ প্রশাসনিক ভবনও স্যানিটাইজ় করা হয়।

উত্তর দিনাজপুরে কোভিডের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর ঠিক এই সময়েই সরকারের নির্দেশে ১৫ থেকে ১৮ বয়সী স্কুল পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে তাদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল, কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্পেশাল ভ্যাকসিন ক্যাম্প করা হয়।

কিন্তু মঙ্গলবারই রায়গঞ্জ মেডিক্যালের একজন ল্যাব টেকনিসিয়ান সহ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। যার মধ্যে একজন সুপার স্প্রেডার। এদিকে হাসপাতাল চত্ত্বরে ভ্যাকসিন নিতে গেলে পড়ুয়াদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল অভিভাবকদের মধ্যেও। আর এতেই চটজলদি সিদ্ধান্ত বদলে দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবী, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ভ্যাকসিন দিলে তারা স্বচ্ছন্দ বোধ করবে বলেই এই সিদ্ধান্ত বদল।

তবে স্বাস্থ্য দফতর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও কম থাকছে বলেই অভিমত অভিভাবকদের একাংশের। তবে কোভিডের বাড়বাড়ন্তে আগামী ১০ই জানুয়ারির মধ্যে জেলার লক্ষাধিক পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে বলেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: TMC Clash: রোগ পুরনো, শাসকের গোষ্ঠী কোন্দলের সমস্যায় বিপাকে সাধারণ মানুষ