দৈনিক আক্রান্ত ১ লক্ষ, বেড নেই হাসপাতালে, আমেরিকাতেও শুরু ‘ডেল্টা’র দাপট
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ছে। হাসপাতালে মিলছে না বেড। রোগীকে নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা অ্যাম্বুলেন্সের।
নিউ ইয়র্ক: করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ আমেরিকাও কাবু হয়েছিল ভয়ঙ্করভাবে। পরে ক্রমশ সংক্রমণ কমেছে, টিকাকরণও শুরু হয়ছে ব্যাপক হারে। তা সত্ত্বেও ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে, প্রত্যেকদিন আমেরিকায় ১ লক্ষ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। আমেরিকার ৭০ শতাংশ নাগরিক যখন টিকা পেয়ে গিয়েছেন, তখন এই বিপুল সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। অনুমান করা হচ্ছে আমেরিকাতেও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা।
জুন মাসের শেষের দিকেও প্রতিদিন আক্রান্তের হার গড়ে ছিল ১১ হাজারের আশেপাশে। আর এখন সেই সংখ্যাই বড় হয়েছে ১ লক্ষ ৭ হাজার। জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে দৈনিক ১ লক্ষ নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছিল আমেরিকায়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই লক্ষে। জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে। কিন্তু ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়ার পরও গড় আক্রান্ত ১ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। গত এক সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যুর হারও বেড়েছে।জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, আগের দু’সপ্তাহে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ২৫০-এর আশেপাশে। শুক্রবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০০।
আমেরিকার স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, আরও টিকাকরণ বাড়ানো না হলে সংক্রমণ বাড়বে আরও। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ডিরেক্টর রচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘যদি আমরা টিকাকরণ না বাড়াই, তাহলে সংক্রমণ কয়েক গুন বেড়ে যাবে। জানুয়ারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।
শুধু আক্রান্তই নয়, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে অনেক হাসপাতালেই বেডপাওয়া মুস্কিল হয়ে উঠেছে। হাউসটনের এক আধিকারিক জানান, করোনার নতুন তরঙ্গে ভেঙে পড়ছে স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। অনকে ক্ষেত্রে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য রোগীকে শহরের বাইরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনকি হাসপাতালে বেড না মেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আরও পড়ুন: করোনাজয়ীদের মধ্যে টিকা নিতে অনীহা! বড় বিপদের সতর্কবার্তা মার্কিন গবেষণায়