AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sheikh Hasina: ‘রাজাকার বলিনি পড়ুয়াদের’, অবশেষে সাফাই হাসিনার

Bangladesh Quota Protest:  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে সংঘর্ষে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন যে স্বজন হারানোর বেদনা তাঁর চেয়ে বেশি কেউ কি জানে? গোটা পরিবারকেই হারিয়েছেন তিনি। 

Sheikh Hasina: 'রাজাকার বলিনি পড়ুয়াদের', অবশেষে সাফাই হাসিনার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।Image Credit: AFP
| Updated on: Jul 27, 2024 | 6:40 PM
Share

ঢাকা: অশান্তির আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল আগে থেকেই। ঘি ঢেলেছিল প্রধানমন্ত্রীর একটা মন্তব্য। প্রতিবাদের আগুনে জ্বলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “রাজাকার”। এই মন্তব্যের পরই গোটা দেশ যেন জ্বলে ওঠে। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা স্লোগান দেন, “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার!”। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাংলাদেশে অশান্তির আঁচ একটু কমতেই, রাজাকার মন্তব্যের সাফাই দিলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বললেন, “পড়ুয়াদের আমি রাজাকার বলিনি।”

শুক্রবার বাংলাদেশের টেলিভিশন দফতর পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই দফতরে। সম্পূর্ণ পুড়ে যায় ভবনটি। ওই ভবনেই পরিদর্শনের পর বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কথা বিকৃত করা হয়েছে। আমি পড়ুয়াদের রাজাকার বলিনি। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে মেধা বনাম কোটার কথা বলা হচ্ছে। সবাই একই পরীক্ষা দিয়ে, ইন্টারভিউ দিয়ে নির্বাচিত হচ্ছে। তারপরে কোটা প্রয়োগ করা হয়। আমি বলেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের নাতি-পুতিদের মেধা নেই? রাজাকারের নাতিপুতিদেরই শুধু মেধা আছে?”

আন্দোলন নিয়েও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “আমার কথা বিকৃত করে যারা ছাত্রদের উসকেছে, ছাত্রদের সামনে রেখে ভাঙচুর, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, সেই অপশক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে সংঘর্ষে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন যে স্বজন হারানোর বেদনা তাঁর চেয়ে বেশি কেউ কি জানে? গোটা পরিবারকেই হারিয়েছেন তিনি।

হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোটা বা সংরক্ষণ নিয়েই অশান্তির আগুন ছড়িয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালে  বাংলাদেশে বাতিল হওয়া সংরক্ষণ ব্য়বস্থাই ফিরে এসেছিল, যার প্রতিবাদে পথে নেমেছিল পড়ুয়ারা। আন্দোলনের আঁচ যখন চড়ছে, সেই সময় চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশে ফিরেই তিনি বলেছিলেন, “মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটার সুবিধা পাবে না তো কি রাজাকারদের নাতি-নাতনিরা পাবে?”

এরপরই পড়ুয়ারা স্লোগান দেয়, “চাইতে গেলাম অধিকার, তকমা জুটল রাজাকার”।  ঢাকার রাস্তা জুড়ে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখিয়ে স্লোগান দেয়, ‘তুমি কে, আমি কে? রাজাকার রাজাকার’, ‘তোমার বাবা, আমার বাবা, রাজাকার রাজাকার’।