ব্রিজ থেকে উল্টো করে ঝুলছে দেহ! পার পাচ্ছে না পুলিশও, চরম নৈরাজ্য, হিংসা থামছেই না বাংলাদেশে
Bangladesh Unrest: মঙ্গলবারই ১৩টি থানা ও ২টি কারাগারে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বন্দিদেরও মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারত-বিরোধী বহু সন্ত্রাসবাদীও রয়েছে। আশঙ্কা বাড়ছে ভারতে অনুপ্রবেশ ও হামলারও।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পতন হয়েছে সরকারের। সেনার তত্ত্বাবধানেই তৈরি হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু তারপরও হিংসার আগুন নিভছে না বাংলাদেশে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিল। জায়গায় জায়গায় হিংসা, হানাহানি, খুনের খবর মিলছে। হত্যালীলার ভয়ঙ্কর সব চিত্র সামনে আসছে।
সোমবারই পতন হয় বাংলাদেশ সরকারের। ওই দিন শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। নির্বিচারে চলে লুটপাট। মাছ, সবজি থেকে শুরু করে দামি ডিওরের স্যুটকেস, ল্যাম্প, ফ্য়ান, এসি- যাবতীয় সব কিছু চুরি করে নিয়ে যায় জনতা। এদিকে, বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লিগের কর্মী-সমর্থক, সংখ্যালঘু ও পুলিশের উপরে হামলার খবর মিলছে।
মঙ্গলবারই ১৩টি থানা ও ২টি কারাগারে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বন্দিদেরও মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারত-বিরোধী বহু সন্ত্রাসবাদীও রয়েছে। আশঙ্কা বাড়ছে ভারতে অনুপ্রবেশ ও হামলারও।
পরে সেনার হস্তক্ষেপে থানার দখল নেওয়া হয়। ভিতর থেকে ৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অস্ত্র লুঠ করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
যাত্রাবাড়িতে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তিনজনের দেহ। তাদের পরনে পুলিশের পোশাক ছিল। একজনের হাতে হাতকড়াও ছিল। অন্যদিকে, একটি সেতু থেকে মৃতদেহ উল্টো করে ঝুলে থাকতেও দেখা যায়। যদিও ওই দেহটি কার, তা জানা যায়নি। জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার পরই ঢাকার রাস্তা কার্যত পুলিশ শূন্য ছিল মঙ্গলবার। অধিকাংশ জায়গাতেই যুবকদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। পুলিশরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবারের সংঘর্ষের পর ২১ জনের দেহ আনা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। এর মধ্যে চারজন পুলিশ কর্মী, একজন র্যাব সদস্য এবং একজন বিজিবি-র সদস্য রয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিগত তিনদিনে শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজেই ৬৮ জনের দেহ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার ১১ জনের, সোমবার ৩৭ জনের এবং মঙ্গলবার ২১ জনের দেহ এসেছে।