রাজনীতিতে আসা যাবে না ডাক্তারদের! দাবি তুললেন বিরোধীরা

Bangladesh : ডাক্তাররা যদি এই দেশে রাজনীতি করে, তাহলে আমরা কী করব? আমাদের কাজটা কী? প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের সাংসদ।

রাজনীতিতে আসা যাবে না ডাক্তারদের! দাবি তুললেন বিরোধীরা
চিকিৎসকের রাজনীতি করা যাবে না, বাংলাদেশে জোরালো সওয়াল বিরোধীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2021 | 6:16 PM

ঢাকা : করোনা পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বেআব্রু হয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। আর এই নিয়েই এবার উত্তাল হল বাংলাদেশের সংসদ ভবন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি।

বিশেষ করে একের পর এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা, সেখানকার চিকিৎসকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য খরচ, সেখানকার চিকিৎসকদের প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করা থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে আজ তোলপাড় হয় বাংলাদেশের সংসদ ভবন। এমনকী চিকিৎসকদের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার মতো প্রসঙ্গও উঠে আসে।

মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত একটি বিলের আলোচনায় আজ বিএনপি সাংসদ হারুনুর রশিদ বলেন, “বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। যাঁরা সরকারি হাসপাতালে কর্মরত, তাঁরাই আজকে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা করছেন।”

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ়াহিদ মালেককে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “এতগুলি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি করেছেন, এইগুলির মান কী? আজ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে যাঁরা পড়াচ্ছেন, তাঁরা ক’জন বিসিএস পাশ? ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?”

তাঁর আরও বক্তব্য, “যেসব পড়ুয়ারা অনিয়ম করে সেখানে ভর্তি হয়েছেন, সে ব্যাপারে সরকার বলেছিল এখানে কোনও অনিয়ম হয়নি। কিন্তু এখন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এখানে লাগাতারভাবে ৭ বছর অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।”

শুধু সরকারে আক্রমণ করাই নয়, চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতেও আজ সংসদে সরব হন বিরোধীরা। সাংসদ কাজি ফিরোজ রশিদ বলেন, “সে ক্ষেত্রে আমরা কী কারণে বসে থাকছি? ডাক্তাররা এবং বৈজ্ঞানিকেরা রাজনীতি করতে পারবেন না বলে যদি কোনও আইন আনা হত, তাহলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু সেটা আনা হয়নি। ডাক্তাররা যদি এই দেশে রাজনীতি করে, তাহলে আমরা কী করব? আমাদের কাজটা কী? ওনারা চলে আসুক রাজনীতি করতে। যাঁরা ভাল ছাত্র তাঁরা ডাক্তারি পড়েন, কিন্তু তাঁরা যদি রাজনীতি করেন, তাহলে আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।”

বিএনপি সাংসদ মোশারফ হোসেনেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, “আমরা রাজনীতি করি, রাজনীতিবিদের জায়গায় থাকব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলার জায়গায় থাকবে। ডাক্তাররা ডাক্তারদের জায়গায় থাকবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো তারা যেভাবে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে টাকা রোজগারের একটি পথ খুলে নিয়েছে, সেখানে মানুষগুলো নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।”

একইসঙ্গে বিরোধীদের বক্তব্য, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ নির্দিষ্ট করার জন্যও সওয়াল তোলেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : National Security Guard:কীভাবে নিয়োগ করা হয় ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডোদের? কত বেতন জানেন