Covid in Bangladesh : তিন মাসে সর্বনিম্ন মৃত্যু, উদ্বেগ কাটছে না ঢাকায়
Coronavirus death in Bangladesh : সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে নতুন ২ হাজার ৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকা : বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন। বিগত তিন মাসে এটিই এখনও পর্যন্ত সবথেকে কম দৈনিক মৃত্যু। ৭ জুন বাংলাদেশে দৈনিক মৃত্যু ছিল ৩০। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে করোনা আক্রান্তে হারও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬.৫৪ শতাংশ মানুষ করোনা পজেটিভ হয়েছে। এই পরিসংখ্যান বিগত ৬ মাসে সবথেকে কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, কোনও দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় যদি নতুন করে করোনায় আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে সেই দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে নতুন ২ হাজার ৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার কমলেও নতুন রোগী বেড়েছে। সোমবার বাংলাদেশে করোনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৫৩ জন। সংক্রমণের হার ছিল ৭.৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৭২৪টি সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪০ । করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৭ জনের । এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৫ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। এরপরেই রয়েছে চট্টগ্রাম। সেখানে মারা গিয়েছেন ৮ জন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। ৫৪৪ দিন পর খুলেছে স্কুল। রবিবার সকাল থেকে যে স্কুলে স্কুলে উৎসবের মেজাজ। কোথাও চকোলেট দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। নতুন উদ্যমে স্কুলে ফিরেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
অনেক জায়গায় স্কুল খোলার কথা সকাল ৮ টা বা ৯ টা থেকে। অথচ ভোর থেকেই স্কুলের আশেআশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়া-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের। পড়ুয়াদের চোখে-মুখে যেন ইদের খুশি। স্কুলে প্রবেশের সময় মুখে মাস্ক আছে কি না সেটা দেখে নেওয়া হয়েছে। না থাকলে বিতরণ করা হয়েছে মাস্ক। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তাপমাত্রাও মাপা হয়েছে। এছাড়া ক্লাসে ভিতরেও সামাজিক দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক স্কুলেই অভিভাবকদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : School Reopening: ১৮ মাস পর খুলল স্কুল, পড়ুয়াদের চোখে যেন ইদের খুশি