Plane Crash: প্রেমিক ও প্রেমিকা আলাদা বিমানে, ভেঙে পড়ল দুটিই, মিরাকলের আরও বাকি…
Miracle: রবিবার সকালে যখন তাঁরা তুরিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, তখন আকাশ রোদ ঝলমলে ছিল। হঠাৎই চারিদিক থেকে ধোঁয়াশা ঘিরে ধরে, কালো হয়ে আসে আকাশ। কয়েক মিনিটেই রোদ উধাও হয়ে রাতের মতো অন্ধকার হয়ে যায়। বিপদ বুঝে বুসানোয় বিমান অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন স্টেফানোর বিমানের পাইলট।
প্যারিস: শীতের দুপুর। মিঠে রোদ গায়ে মেখেই প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তবে সেই ভ্রমণের পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর হবে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ওই যুগল। পরপর বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন প্রেমিক-প্রেমিকা দুইজনই। তাও আবার একইদিনে। তবে ভাগ্যক্রমে দুইজনই প্রাণে বেঁচে যান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তাঁরা এখনও ভাবছেন যে কীভাবে পরপর দুজনের বিমানই ভেঙে পড়ল।
স্টেফানো পিরিলি (৩০) ও তাঁর বাগদত্তা অ্যান্টোনিয়েট্টা দেমাসি (২২) রবিবার ইটালির তুরিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। যেহেতু বিমানগুলি দুই আসনের, তাই আলাদা দুটি বিমানে চেপে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথেই দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক মাইলের দূরত্বে ভেঙে পড়ে পরপর দুটি বিমান। তবে ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান স্টেফানো ও তাঁর হবু স্ত্রী।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে যখন তাঁরা তুরিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, তখন আকাশ রোদ ঝলমলে ছিল। হঠাৎই চারিদিক থেকে ধোঁয়াশা ঘিরে ধরে, কালো হয়ে আসে আকাশ। কয়েক মিনিটেই রোদ উধাও হয়ে রাতের মতো অন্ধকার হয়ে যায়। বিপদ বুঝে বুসানোয় বিমান অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন স্টেফানোর বিমানের পাইলট। পিছনের বিমানে থাকা প্রেমিকাকে ফোন করে পিরিলি জানান, সামনে আবহাওয়া খুব খারাপ, তাঁরাও যেন বিমানের জরুরি অবতরণ করে। ওই বিমানের পাইলট জানান, সান গিলিও-র কাছে এয়ারস্ট্রিপে বিমান অবতরণ করাবেন।
তবে বিমান অবতরণ করানোর আগেই বিপদ ঘটে। সামনে ঘন কুয়াশা থাকায় বিদ্যুতের তার দেখতে পাননি পাইলট। তারে জড়িয়ে ক্ষেতে আছড়ে পড়ে বিমানটি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর প্রেমিকার বিমানও বিপদের মুখে পড়ে। সেই বিমানও ভেঙে পড়ে।
আশ্চর্যজনকভাবে দুই বিমানে থাকা ওই যুগল ও তাদের বিমানের পাইলটরা প্রাণে বেঁচে যান। দুর্ঘটনায় অ্যান্টোনিয়েট্টা দেমাসির কোমরে চোট লাগে, তাঁর বিমানের পাইলট রোটোন্ডোর মাথায় আঘাত লাগে। স্টেফানো পিরিলির বিমান ভেঙে পড়লেও, তাঁর অতি সামান্য চোট লাগে।
অ্যান্টোনিয়েট্টার এটাই প্রথম বিমান সফর ছিল, আর তাতেই এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। তাঁর হবু স্বামী পিরিলি আপাতত হাসপাতালে অ্যান্টোনিয়েট্টার বিছানার পাশে বসে তাঁর সুস্থতার দাবি করছেন। পিরিলি জানান তাঁর বিমানই প্রথম ভেঙে পড়েছিল। কোনওমতে বিমান থেকে বেরিয়ে তিনি ইমার্জেন্সি সার্ভিসে ফোন করেন। উদ্ধারকারী দল যখন ঘটনাস্থলে আসে, তাঁদের মুখেই শুনতে পান যে পিছনে আরও একটি বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন, তারপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।