Nepal flood: বন্যা-ধসে বিপর্যস্ত নেপাল, ১০০ ছাড়াল মৃতের সংখ্যা

100 death in Nepal: তৎপরতার সঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। বাঝাং ও কৈখালি পরিদর্শন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।

Nepal flood: বন্যা-ধসে বিপর্যস্ত নেপাল, ১০০ ছাড়াল মৃতের সংখ্যা
হড়পা বান ও ভূমিধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 12:22 AM

কাঠমাণ্ডু : ভারতের একাধিক রাজ্যের পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপালও (Nepal)। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্য়েই ১০০ ছাড়িয়েছে সেই সংখ্যা। মোট ১০১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। এখনও নিখোঁজ ৪১ জন। নেপাল পুলিশ সূত্রে খবর, আহত হয়েছে ৪০ জন। ১,১৭৭ জনের ঘরছাড়া।

নেপাল পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ বসন্ত বাহাদুর কুনওয়ার জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন অংশে মালপত্র ও যাত্রী পরিবহন সচল রাখতে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করছে পুলিশ। টানা বৃষ্টিতে ও বন্যায় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নেপালে বর্ষাকাল না হওয়া সত্ত্বেও অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে হঠাৎ এই প্রবল বর্ষা দেখা দিয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তন নেপালের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে, এ বৃষ্টি থেকেই এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম নেপালের সেতি নামক একটি গ্রামে বিগত দুই দিন ধরে ৬০ জন বাসিন্দা জলমগ্ন অবস্থায় আটকে রয়েছেন। কিন্তু লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকারী দলও ওই অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে না। একটানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলায় জল ঢুকে গিয়েছে বিরাটনগর বিমানবন্দরের রানওয়েতেও।

একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বাড়িঘর, রাস্তা, সেতু ভেঙে গিয়েছে। ধানের জমিগুলিতেও জল ঢুকে গিয়েছে। ফসল তোলার আগেই তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা। ব্যহত হচ্ছে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও।

আরও পড়ুন: Corona Update: টানা তিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০-র ওপরে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিনও গোটা নেপাল জুড়েই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে। বর্ষার বিদায়ের সময়ে আচমকাই বঙ্গোপসাগর উপকূলে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব ভারত ছাড়িয়ে নেপালেও পড়ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার উপরে নতুন করে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে।

এ দিকে, আবহাওয়ার দিকে নজর রাখলে বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি থেমে গেলেও জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। একাধিক জায়গায় তুষারপাতও চলছে। এরই মাঝে জারি রাখা হয়েছে উদ্ধারকার্য।  কুমায়ুন অঞ্চল, যেখানে সর্বাধিক পরিমাণ ট্রেকাররা যান ট্রেকিংয়ের জন্য, সেখানে একাধিক উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে এবং পার্বত্য পথগুলি ধরে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

পর্যটকে ভরা নৈনিতালে প্রায় দুদিন বাদে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে একাধিক জায়গাতেই এখনও নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: Amit Shah’s J&K Visit: উপত্যকায় তিনদিনের ‘শাহি’ সফর! তার আগে আকাশপথে চলছে নজরদারি