AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India at UNSC: বুচার গণহত্যার প্রতিবাদে সরব ভারতও, রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাবি স্বাধীন তদন্তের

Russia-Ukraine Conflict: সম্প্রতিই ইস্তানবুলের বৈঠকের পর রাশিয়া ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্য়াহারে রাজি হয়। কিন্তু রুশ সেনা পিছু হটার পরই শহরগুলির পুনর্দখল করতেই ধরা পড়ে গণহত্যার চিত্র। কিয়েভ থেকে শুরু করে বুচা, প্রতিটি শহর থেকেই উদ্ধার হয় সারি সারি মৃতদেহ।

India at UNSC: বুচার গণহত্যার প্রতিবাদে সরব ভারতও, রাষ্ট্রসঙ্ঘে দাবি স্বাধীন তদন্তের
বুচায় যেভাবে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2022 | 6:13 AM
Share

জেনেভা: রুশ সেনা ইউক্রেনের (Ukraine) শহর ছাড়তেই সামনে এসেছে আসল সত্য। কিয়েভ থেকে শুরু করে বুচা, প্রতিটি শহরে ঢুকতেই চোখে পড়তে সারি সারি মৃতদেহ। হাত-পা পিছমোড়া করে বাঁধা, মাথায় বুলেটের ক্ষতচিহ্ন। কারোর আবার পিঠে গরম লোহা দিয়ে এঁকে দেওয়া হয়েছে রুশ স্বস্তিক চিহ্ন। ইউক্রেনে কী ইচ্ছাকৃতভাবেই গণহত্যা চালিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী (Russian Army)? এই প্রশ্নই আপাতত ঘুরছে বিশ্ব দরবারে। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘেও (United Nations) উঠল এই প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের (UNSC) বৈঠকে ভারতের (India) তরফেও বুচার গণহত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং স্বাধীন তদন্তের ডাক দেওয়া হয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে ভারত এতদিন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখলেও, গতকাল রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “সম্প্রতিই ইউক্রেনের বুচায় নাগরিকদের হত্যার যে খবর পাওয়া গিয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা করছি এবং স্বাধীন তদন্তের দাবিতে সমর্থন জানাচ্ছি।”

ফের একবার যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়ে টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “প্রতিনিয়ত যে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে ভারত। এই সঙ্কটের প্রভাব ইউক্রেন বা রাশিয়ার গণ্ডি পার করে গোটা বিশ্ব জুড়েই বোঝা যাচ্ছে। ক্রমাগত খাদ্য ও শক্তির দাম বাড়ছে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। যখন নিরাপরাধ সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়, তখন কূটনীতিই একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায়।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ইস্তানবুলের বৈঠকের পর রাশিয়া ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্য়াহারে রাজি হয়। কিন্তু রুশ সেনা পিছু হটার পরই শহরগুলির পুনর্দখল করতেই ধরা পড়ে গণহত্যার চিত্র। কিয়েভ থেকে শুরু করে বুচা, প্রতিটি শহর থেকেই উদ্ধার হয় সারি সারি মৃতদেহ। কয়েকশো মৃতদেহ মাটি চাপা দেওয়ার জন্য যে গণ কবর খোঁড়া হয়েছিল, তাও উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে। বিনা অপরাধে ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের হত্যার অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধী আদালতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের এই ভয়ঙ্কর দশার চিত্র সামনে আসতেই ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকা, এমনকি ন্যাটোর তরফেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে উল্লেখ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেন।