বিনা অনুমতিতে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ মার্কিন নৌবাহিনীর প্রবেশে ক্ষুব্ধ ভারত, পাল্টা ব্যাখ্যা পেন্টাগনের
৭ এপ্রিল জন পল জোন্স নামক জাহাজটি ভারতের লক্ষদ্বীপের পশ্চিমে অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রায় ১৩০ নটিক্যাল মাইল ভিতরে প্রবেশ করে।
নয়া দিল্লি: বিনা অনুমতিতেই ভারতের অর্থনৈতিক অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম বহর ঢুকে পড়াকে কূচনৈতিক মহলের তরফ থেকে “সামুদ্রিক নীতির পরিপন্থী” বলার পরই সরব হল বিদেশমন্ত্রক। নয়া দিল্লি ও ওয়াশিংটন- দুই জায়গাতেই কূটনৈতিক সূত্র মারফত বিনা অনুমতিতে মার্কিন জাহাজ প্রবেশের প্রতিবাদ জানাল ভারত।
গত ৭ এপ্রিল ভারতের লক্ষদ্বীপের ‘নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর ১৩০ নটিক্যাল মাইলে ঢুকে পড়ে আমেরিকার নৌবাহিনীর সপ্তম বহর। রাষ্ট্রপুঞ্জের আইনে স্বাক্ষর না করায় আমেরিকা জানায়, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলছে এবং কোনও নিয়ম ভঙ্গ করা হয়নি।
শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “আমেরিকার জন পল জোন্স আরব সাগর হয়ে মালাক্কার দিকে এগিয়ে গিয়েছে। ভারত রাষ্ট্রসংঘেরসামুদ্রিক আইন মেনে চলে। এই আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, অন্য দেশের জলপথে প্রবেশ করে কোনও নৌযান যাওয়ার সময় সেই দেশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কূটনৈতিক মাধ্যমে মার্কিন সরকারের কাছে আমরা এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন: ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উপকূল
অন্যদিকে, পেন্টাগনের তরফে একটি সাংবাদিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করেই বিনা অনুমতিতে ভারতীয় জলপথে প্রবেশ করেছিল। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, “ইউএসএস জন পল জোন্স মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের আঞ্চলিক সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করেছে বিনা অনুমতিতেই। এটি আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ নয়। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে এবং দায়িত্ব ও অধিকার মেনেই আকাশ, জলপথে অভিযান চালিয়েছি।”
মার্কিন কূটনীতি বিশেষজ্ঞ জেফ স্মিথও একাধিক টুইটে জানান যে, এই প্রথম নয়, এর আগে নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছরই এমন অভিযান চালানো হয়েছে। কেবল ২০১৮ ও ২০২০ সালেই কোনও অভিযান হয়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষদ্বীপে ‘অনুপ্রবেশ’ মার্কিন সামরিক জাহাজের, নৌবাহিনীর মুখে কুলুপ