Security Council: রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট ভারতের! ইউক্রেন ইস্যুতে প্রথমবার
Russia-Ukraine: ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও থামেনি যুদ্ধ।
ওয়াশিংটন: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রথম বার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত। বুধবাকর রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভিডিয়ো টেলি কনফারেন্সে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। জেলেনস্কির বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপুঞ্জে উপস্থিত রাশিয়ার প্রতিনিধি। তখনই বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য ‘পদ্ধতিগত ভোট’-এর আয়োজন করা হয়। সেই ভোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ভারত। ইউক্রেন সংক্রান্ত বিষয়ে ফেব্রুয়ারি মাস এই প্রথম বার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত।
ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও থামেনি যুদ্ধ। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয় নিয়ে গত ৬ মাসে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে। নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটিও হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ভোটাভুটি থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিল ভারত। ইউক্রেনের হামলার পর থেকেই আমেরিকা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী দুনিয়া নিষেধাজ্ঞা চাপায়। কিন্তু সেই দলে নিজের নাম লেখায়নি ভারত। আমেরিকার দলে ভিড়ে নিজের পুরনো বন্ধুকে দূরে ঠেলেনি ভারতের কূটনীতিকরা। বদলে রাশিয়া এবং ইউক্রেন- দুদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিল ভারত। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেল কিনেছিল ভারত। পাশাপাশি ইউক্রেনের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। কিন্তু এই প্রথম বার রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত।
ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। ২ বছরের জন্য সদস্য পেয়েছিল ভারত। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে।
বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জে থাকা রাশিয়ার প্রতিনিধি তার বিরোধিতা করেন। এর পরই এই বিষয়ে ভোটাভুটির প্রস্তাব আসে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ জন সদস্যের মধ্য়ে ১৩ জনেরই ভোট পড়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত। ১৫ জন সদস্যের মধ্যে চিন অবশ্য ভোট দানে বিরত থেকেছে।
ভোটের পর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেন জেলেনক্সি। যুদ্ধপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যদি মস্কো এখন না থামে, তাহলে রাশিয়ার খুনিরা অন্য দেশেরও হামলা চালাবে। ইউক্রেনের সীমানায় বিশ্বের ভবিষ্যত লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা আপনাদের নিরাপত্তা।”