বিদায়কালে ‘যুদ্ধের অজুহাত তৈরি করছেন ট্রাম্প’
শেষদিন পর্যন্ত যে ট্রাম্প তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেন, সেই প্রমাণ আগেই একাধিক হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে স্পষ্ট।
তেহরান: মার্কিন ড্রোন হামলায় কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পর চরমে উঠেছে ইরান-আমেরিকা তরজা। আগামী ৩ জানুয়ারি ইরানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কাশেম সোলেমানির মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগেই টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জ়রিফ। তাঁর দাবি, ট্রাম্প নাকি যুদ্ধের অজুহাত তৈরি করছেন।
সোলেমানি মৃত্যুর দায় ট্রাম্পের উপর চাপিয়ে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ইরান। পরিস্থিতি এমনও হয়েছিল, ট্রাম্পকে ধরতে ইন্টারপোলেরও শরণাপন্ন হয়েছিল হাসান রুহানির দেশ। সোলেমানি মৃত্যুর এক বছর হতে চললেও চাপা আগুন থামেনি। নভেম্বর মাস থেকেই ইরানের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মার্কিন রণতরী নিমিতেজ। কয়েক দিন আগেই ইরানের কাছাকাছি পৌঁছেছে বি-৫২ বোমারু বিমান।
এই আবহেই টুইট করে জ়রিফ জানিয়েছেন, আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ না রুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোটি কোটি টাকা খরচা করছেন মার্কিন রণতরী ও বোমারু বিমানের পিছনে। তিনি এই অভিযোগও করেছেন, ট্রাম্প নাকি যুদ্ধের অজুহাত তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: সংশোধিত হল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত, বাদ পড়ল ‘নবীন’ শব্দ!
২০ জানুয়ারি আমেরিকার মসনদে বসছেন জো বাইডেন। তবে শেষদিন পর্যন্ত যে ট্রাম্প তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেন, সেই প্রমাণ আগেই একাধিক হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে স্পষ্ট। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও চিন বিরোধিতার সুর একবারের জন্যও নরম করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের ক্ষেত্রেও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আগের মতোই আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ইরানের বিদেশমন্ত্রী জ়ফর অবশ্য ট্রাম্পকে কটাক্ষ জানিয়েছেন, নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এমন কিছু করবেন না যাতে মার্কিন নাগরিকরা বিপদে পড়ে।