Taslima Nasrin: ‘বাংলাদেশ শীঘ্রই হবে আফগানিস্তান! মৌলবাদীদের চক্রান্ত ফাঁস করলেন তসলিমা
Taslima Nasrin: খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ আরও একটা আফগানিস্তানে পরিণত হতে পারে। এমনটাই দাবি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সাম্প্রতিক আন্দোলনকে তিনি ছাত্রদের আন্দোলন বলতে নারাজ। মৌলবাদীদের পরিকল্পনা ফাঁস করলেন তসলিমা নাসরিন।
নয়া দিল্লি: বাংলাদেশ নিয়ে বড় দাবি করলেন বিতর্কিত লেখিকা তথা মানবাধিকার কর্মী তসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি, বর্তমানে বাংলাদেশে তরুণদের মগজ ধোলাই করছে ইসলামী কট্টরপন্থীরা। তাদের ভারতবিরোধী, হিন্দুবিরোধী, পাকিস্তানপন্থী এবং জিহাদিতে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। কাজেই, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ আরও একটা আফগানিস্তানে পরিণত হতে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তসলিমা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, যাকে তিনি ছাত্রদের আন্দোলন মনে করেছিলেন, তা আসলে ছিল মৌলবাদীদের চক্রান্ত।
তিনি বলেছেন, জুলাইয়ে যখন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন মহিলাদের অধিকার, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার যারা, তারা সবাই তাদের সমর্থন করেছিল। মৌলবাদীদের তুষ্ট করে, জনগণের মুখে কুলুপ এঁটে রাখতেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণ তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। তসলিমা আশা করেছিলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং গণতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচিত হবে। প্রাথমিকভাবে সেই ভাবনাতেই হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে তিনি সঠিক মনে করেছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি।
তসলিমা বলেছেন, “পরে আমরা বুঝতে পেরেছি এটা মোটেও ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। ইসলামি মৌলবাদীরা এর পরিকল্পনা করেছিল এবং টাকা দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মূর্তি, জাদুঘর ও জাতীয় ঐতিহ্যের ভাস্কর্য ধ্বংস করা শুরু হলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছিল। এরপর জেলে বন্দি সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং হিন্দুদের উপর হামলা শুরু হয়। তখন আন্দোলনকারীদের আসল উদ্দেশ্য ও চেহারা প্রকাশ্যে আসে।”
তসলিমার আরও বলেছেন, “ইউনূস বলেছেন বিক্ষোভকারীরা বিজয় উদযাপন করেছে। কিন্তু এটা কেমন উদযাপন যেখানে হিন্দুদের বাড়িঘর পোড়ানো হচ্ছে? যুদ্ধের সময় লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা করা এবং মহিলাদের ধর্ষণ করা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। ইউনুস জানেন জিহাদিরাই দেশ শাসন করবে এবং এতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। এই কট্টরপন্থীরা বাংলাদেশকে পরবর্তী আফগানিস্তান বা ইরানে পরিণত করার জন্য নরক বানাতে চায়। ইউনূস এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না এবং তাদের সমালোচনাও করছেন না। কাজেই ভবিষ্যতের জন্য কোনও আশা নেই।”
তবে, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনাকেই দায়ী করেছেন তসলিমা। কারণ, মৌলবাদীরা হঠাৎ করে মাথা তোলেনি। তিনি বলেন, “এর জন্য হাসিনাই দায়ী। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য মৌলবাদীদের তুষ্ট করেছেন। ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তিনি। মাদ্রাসার ডিগ্রিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমতুল্য করে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। তিনি আমাকে হেনস্থা করেছিলেন বলে আমি হাসিনার বিরুদ্ধে নই, আমি হাসিনা বিরোধী কারণ তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন না। সেখানে জিহাদিরা হঠাৎ করে মাথা তোলেনি। হাসিনার শাসনামলে হিন্দুদের উপর সবথেকে বেশি হামলা হয়েছে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)