আফগানিস্তান দখলে কার ভূমিকা বেশি? শাসন শুরুর আগেই ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি তালিবানের অন্দরে

Major Row between Taliban and Haqqani Network: অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট নন উপ প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে। তালিবানি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট হাউসে মোল্লা বরাদর ও হাক্কানি নেতা তথা রিফিউজি মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে।

আফগানিস্তান দখলে কার ভূমিকা বেশি? শাসন শুরুর আগেই ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি তালিবানের অন্দরে
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2021 | 9:03 AM

কাবুল: সরকার গঠনের আগেই অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তালিবানি নেতাদের (Taliban Leaders) মধ্যে। বিগত কয়েকদিন ধরেই তালিবানি নেতাদের মধ্যে ঝামেলার জল্পনা শুরু হলেও তা বারংবার উড়িয়ে দিচ্ছিলেন শীর্ষনেতারা। তবে এ বার এক শীর্ষ তালিবানি আধিকারিকই অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিলেন।

বিবিসি সংবাদ মাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই তালিবানি আধিকারিক জানিয়েছেন, তালিবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর(Mullah Abdul Ghani Baradar)-র সঙ্গে কয়েকজন তালিবানি ও হাক্কানি গোষ্ঠীর নেতাদের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়েছে। সেই কারণেই তিনি নাকি কাবুল ছেড়েছেন।

সম্প্রতিই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো টেপ ভাইরাল হয়, যেখানে বলা হচ্ছিল কাবুলে কোনও এক অন্তর্দ্বন্দ্বে, মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর জখম হয়েছেন অথবা মারা গিয়েছেন। তবে সমস্ত জল্পনায় ইতি টেনে বরাদর নিজেই এক অডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি জীবিতই রয়েছেন। যেখানেই রয়েছেন, সুরক্ষিত রয়েছেন।

তালিবানের উপ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে। অডিয়ো বার্তায় বরাদর জানিয়েছেন, “আমার মৃত্যু নিয়ে ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যমে। বিগত কিছু দিন ধরে আমি কাবুলের বাইরে রয়েছি। আমরা এখন যেখানেই আছি, সেখানে আমার সমস্ত ভাই ও বন্ধুরা, সকলে মিলে সুরক্ষিতই রয়েছেন।”

গত মাসের ১৫ তারিখ কাবুল দখলের পরই ইসলামিক এমিরেটস গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিবান। দুই সপ্তাহ আগে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা করা হলেও এখনও অবধি শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করতে পারেনি তালিবান। এর কারণ হিসাবে তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দায়ী করা হচ্ছে।

এক তালিবানি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট হাউসে মোল্লা বরাদর ও হাক্কানি নেতা তথা রিফিউজি মন্ত্রী খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে। তাদের সমর্থনকারীদের মধ্যেও বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট নন উপ প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে। আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই তালিবানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম উঠে আসলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোল্লা হাসান আখুন্দকে বেছে নেওয়া হয়। সেই কারণেই তিনি অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তান দখলে কোন গোষ্ঠীর কৃতিত্ব বেশি, তা নিয়েও বচসা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বরাদরের মতে, সরকার গঠনে কূটনৈতিক নেতাদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। উল্টোদিকে হাক্কানি গোষ্ঠীর দাবি, যুদ্ধ করে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে, তাই শক্তিধারীরাই বেশি গুরুত্ব পাবে। কার হাতে বেশি ক্ষমতা থাকা উচিত, তা নিয়ে বচসার প্রেক্ষিতেই বরাদর কাবুল ছেড়ে কান্দাহারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বন্দুক ঠেকিয়ে কাবুলে অপহরণ করা হল এক ভারতীয়কে

আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ তালিবদের দেড় কোটি ডলার সাহায্য পাঠাল বেজিং