China: চিনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! সংখ্যালঘুদের দাসে পরিণত করা হয়েছে, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

United Nations: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিব্বতেও একই ধরনের শ্রমিক স্থানান্তরের ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। সেখানে কৃষক, পশুপালক এবং অন্যান্য গ্রামীণ কর্মীদের কম বেতনের কর্মসংস্থানে স্থানান্তরতি করা হয়েছে।

China: চিনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! সংখ্যালঘুদের দাসে পরিণত করা হয়েছে, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 4:08 PM

জেনেভা: চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলে কৃষি ও উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের বলপূর্বকভাবে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের এক বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি ‘দাসত্ব গ্রহণে বাধ্য করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন। জিনজিয়াংয়ে প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক করে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করছে বেজিং। পাশাপাশি সংখ্যালঘু মহিলাদের বলপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণে বাধ্য করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলির আইনসভার সদস্যদের অভিযোগ চিনের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘নরহত্যা’ চালানো হচ্ছে, যদিও একথা অস্বীকার করেছে বেজিং। আধুনিক দাসপ্রথার ওপর জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি তোমোয়া ওবোকাতার মঙ্গলবারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই বিষয়গুলি প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী ওই প্রতিবেদনে ভুক্তভোগীদের বিবৃতিও প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার নামে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে কর্মসংস্থানের নামে তাদের স্থানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এমনকী সেখান থেকে শ্রমিকদের বিভিন্ন স্থানে বদলিও করা হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের তৃতীয় স্তরের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “যদিও এর মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং তাদের আয় বাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে। কিন্তু তাসত্ত্বেও ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনও সম্প্রদায়কে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা অনৈতিক।”

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিব্বতেও একই ধরনের শ্রমিক স্থানান্তরের ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। সেখানে কৃষক, পশুপালক এবং অন্যান্য গ্রামীণ কর্মীদের কম বেতনের কর্মসংস্থানে স্থানান্তরতি করা হয়েছে। বিশেষ প্রতিবেদক ও অন্যান্য স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের রাষ্ট্রপুঞ্জের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা সেখানে গোটা বিশ্বের হয়ে কথা বলার সুযোগ পায়নি। উল্লেখ্য, চরমপন্থা মোকাবিলা করার জন্য জিনজিয়াংয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে বেজিং। গতমাসেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এই অঞ্চলে গিয়ে সরকারের সংস্কার ও উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।