সেনার গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মায়ানমারে
১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পরই মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে মায়ানমারে (Myanmar)। জান্তাবাহিনী (Janta Group)-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেই গুলি করে মারা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের।

মায়ানমার: মৃত্যুমিছিল বেড়েই চলেছে মায়ানমারে (Myanmar)। গত মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল মায়ানমার। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই গুলি করে মারা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের। শনিবারও নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯১ জন।
১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে আচমকাই সেনা অভ্যুত্থান হয়। আটক করা হয় জননেত্রী আন সান সু কি(Aung San Suu Kyi)-কে। এরপরই ইয়াঙ্গন, মান্দালা সহ একাধিক শহরে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে দেশের সাধারণ মানুষ। আজ একদিকে যখন সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হচ্ছিল, সেই সময়ই আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায় জান্তা বাহিনী। শেষ পাওয়া খবরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯১ জন।
এই ঘটনার সমালোচনা করে জান্তা বাহিনী বিরোধী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ডঃ সাসা বলেন, “সেনাবাহিনীর কাছে আজ লজ্জার দিন। যেখানে ৩০০-রও বেশি নিরীহ মানুষকে খুন করা হয়েছে, সেখানে মিলিটারি জেনারেল সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করছেন।”

সশস্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর মহড়া। ছবি:PTI
আরও পড়ুন: Narendra Modi in Bangladesh: করোনামুক্তিতে যশোরেশ্বরী দেবীর চরণে, সম্পর্ক মজবুতে পুঁতলেন চারাগাছ
স্থানীয় একটি সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ইয়াঙ্গনের দালা এলাকায় থানার বাইরে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় কমপক্ষে চারজন মারা গিয়েছেন। গুলির আঘাতে জখম হয়েছেন ১০ জন। অন্যদিকে, ইনসেইন জেলায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। মান্দালায় গুলি চালনার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন। যদিও এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে ১৪ মার্চ মায়ানমারের হ্লাইনথায়া (Hlaingthaya) শহর ও অন্যান্য অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড এবং গুলি চালনার ঘটনায় ৩৯ জন প্রাণ হারান। ফেব্রুয়ারি শেষ ভাগে ও মার্চের শুরুতেও ৩৬ জনকে গুলি করে খুন করে সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: রেললাইনে গোলমাল, দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত কমপক্ষে ৩২
