Nepal Plane Crash: ভেঙেচুরে খাদের ধারে ঝুলছে ‘অভিশপ্ত’ বিমানটি, আদৌ কি বেঁচে আছেন কোনও যাত্রী?
Nepal Plane Crash: নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ দিন সকালে টুইটে জানান, যে জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
কাঠমাণ্ডু: আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল, এ বার সত্যিই জানা গেল যে পাহাড়ের উপরে ভেঙে পড়েছে নেপালের (Nepal) তারা এয়ারলাইনের যাত্রীবাহী বিমান। সোমবার সকালেই নেপালের সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, হদিশ মিলেছে বিমানের ক্র্যাশ সাইটের (Crash Site)। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। ভোর থেকেই শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকাজ। আপাতত কোনও যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল সকালেই ১৯ জন যাত্রী ও ৩ জন ক্রু সদস্যকে নিয়ে নেপালের আকাশ থেকে উধাও হয়ে যায় একটি প্রাইভেট বিমান। এরপরই আশঙ্কা করা হয়েছিল, হয়তো বিমানটি পার্বত্য কোনও অঞ্চলে ভেঙে পড়েছে। এ দিন সকালে নেপাল সেনাবাহিনীর তরফে সেই খবরই নিশ্চিত করা হয়।
নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ দিন সকালে টুইটে জানান, যে জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামের কাছে একটি পাহাড়ের উপরে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। থাসাং-২ -র সানোস্বারেতে বিমানটি টুকরো টুকরো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
Nepal | Crashed Tara Air aircraft located at Sanosware, Thasang-2, Mustang
The aircraft with 22 people including four Indians onboard went missing yesterday.
(Photo source: Nepal Army) pic.twitter.com/W4n5PV3QfA
— ANI (@ANI) May 30, 2022
রবিবার বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছিল। বিমানের পাইলটের মোবাইল সিগন্য়ালের মাধ্যমেই জানা গিয়েছিল যে মুস্তাং জেলায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে। পরে ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পৌঁছলেও প্রবল তুষারপাত ও ঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজ স্থগিত করে দেওয়া হয়।
Nepal plane crash | Search operations resumed in morning after it was halted yesterday due to snowfall: Nepal Army
Helicopters deployed for search & rescue operation for crashed Tara Air's 9 NAET twin-engine aircraft called off after the snowfall in Mustang district. pic.twitter.com/mm0DkQHTJ4
— ANI (@ANI) May 30, 2022
ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছিলেন, সম্ভাব্য ক্র্যাশ সাইটে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হলেও প্রবল তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যে সমস্ত হেলিকপ্টারগুলিকে উদ্ধারকাজের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাদেরও ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নেপালের তারা এয়ারলাইনের যে বিমানটি ১৯ জন যাত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, তাতে ভারতেরও চার বাসিন্দা ছিলেন। মুম্বইয়ের বাসিন্দা বৈভবী, তাঁর প্রাক্তন স্বামী অশোক ত্রিপাঠি ও তাঁদের দুই সন্তান ধনুশ ও রিতিকা গত সপ্তাহেই নেপাল ঘুরতে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।