Video: দাউদ-হাফিজকে কবে ভারতে ফেরাবেন? ইন্টারপোলের সভায় কোণঠাসা পাকিস্তান
Pak representative at Interpol: ইন্টারপোলের সাধারণ পরিষদের ৯০তম বার্ষিক সভায় কোনঠাসা পাকিস্তান। দাউদ-হাফিজ সইদের প্রশ্ন শুনেই মুখে আঙুল।
নয়া দিল্লি: নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ইন্টারপোলের সাধারণ পরিষদের ৯০তম বার্ষিক সভায় কোণঠাসা হল পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর), এই বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে, গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাঁদের। দাউদ এবং সইদ – দুইজনেরই নাম রয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায়। ভারতও এই দুজনকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী’র তালিকায় রেখেছে। দুজনেই যে পাকিস্তানে বসবাস করেন, তার অনেক প্রমাণও রয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে ইন্টারপোলের সাধারণ পরিষদের ৯০তম বার্ষিক সভা। ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক ফোরামে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন নিয়ে উত্তেজনার মধ্য়েই, ইন্টারপোলের সভায় দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। তাঁদের অন্যতম পাক ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল মহসিন ভাট। এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পক্ষ থেকে তাঁকে দাউদ ইব্রাহিম এবং হাফিজ সইদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, সেই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।
#WATCH | Pakistan’s director-general of the Federal Investigation Agency (FIA) Mohsin Butt, attending the Interpol conference in Delhi, refuses to answer when asked if they will handover underworld don Dawood Ibrahim & Lashkar-e-Taiba chief Hafiz Saeed to India. pic.twitter.com/GRKQWvPNA1
— ANI (@ANI) October 18, 2022
এএনআই-এর সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, “শুধু একটাই প্রশ্ন আছে, “প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া কি সহজ হবে? আপনারা কি হাফিজ সইদ এবং দাউদ ইব্রাহিমকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করবেন? তারা মোস্ট ওয়ান্টেড…।” ওই সাংবাদিককে সেখানেই থামিয়ে দেন মহসিন ভাট। এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি তিনি। “দয়া করে কোনও প্রশ্ন করবেন না” বলে, ঠোঁটের উপর আঙুল দিয়ে ভাট বুঝিয়ে দেন, এই বিষয়ে তিনি টু শব্দটিও করবেন না।
গত মাসে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকর করার জন্য দুটি বিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ জারি করেছিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। প্রথম আদেশে ৮৮টি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এবং শতাধিক সন্ত্রাসবাদীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে হাফিজ সইদ এবং দাউদ ইব্রাহিম দুজনেরই নাম ছিল। চলতি অক্টোবর মাসেই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে পাক পদক্ষেপের মূল্যায়ন করবে। তাকে সামনে রেখেই এই পদক্ষেপ করেছিল ইসলামাবাদ, এমনটাই মনে করা হয়। গত জুন মাসে এফএটিএফ-এর সর্বশেষ মূল্যায়নে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখা হয়েছিল।