Russia ISIS Attack: ‘ছদ্মবেশে’ ঢুকেছিল ওঁরা, গুলি-গ্রেনেডের সামনে দাঁড়াতেই পারল না কেউ, মস্কোয় ISIS হামলায় মৃত ১৪৩

Moscow Concert Attack: শুক্রবার মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্ট চলাকালীন হামলা চালায় অভিযুক্তরা। নির্বিচারে গুলি চালায় আততায়ীরা। এরপর কনসার্ট হলের ভিতরে বোমাবাজিও করা হয়। ওই হামলায় কমপক্ষে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

Russia ISIS Attack: 'ছদ্মবেশে' ঢুকেছিল ওঁরা, গুলি-গ্রেনেডের সামনে দাঁড়াতেই পারল না কেউ, মস্কোয় ISIS হামলায় মৃত ১৪৩
হামলার পর মোতায়েন পুলিশ বাহিনী।Image Credit source: AP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2024 | 11:38 PM

মস্কো: দীর্ঘ হয়ে চলেছে রাশিয়ার মৃত্যুমিছিল। মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলায় মৃতের সংখ্যা ৬০ থেকে বেড়ে ৯৩-এ পৌঁছেছিল। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৪৩এ পৌঁছেছে। বেড়েছে আহতের সংখ্য়াও। কমপক্ষে ১৪৫ জন আহত বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়া পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হামলাকারী ৪জন সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইসিস-কে।

শুক্রবার মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্ট চলাকালীন হামলা চালায় অভিযুক্তরা। নির্বিচারে গুলি চালায় আততায়ীরা। এরপর কনসার্ট হলের ভিতরে বোমাবাজিও করা হয়। ওই হামলায় কমপক্ষে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সন্দেহভাজন ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন বন্দুকবাজও রয়েছে, যারা হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। হামলার পরই তাঁরা গাড়ি করে পালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ দুঃসাহসিকভাবে গাড়িটি ধাওয়া করে এবং ব্রিয়াস্ক এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইসিস। তারা জানিয়েছে, মস্কোর বাইরে একটি বড় জমায়েতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর তারা সুরক্ষিতভাবে বেস বা ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।

কীভাবে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা?

জানা গিয়েছে, ক্য়ামোফ্লাজ বা জংলি রঙের ইউনিফর্ম পরে বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিল হামলাকারীরা। ঢুকেই তাঁরা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে এবং গ্রেনেড ছোড়ে। যারা ওই সময়ে কনসার্ট হলে ছিলেন, তারা আসনের পিছনে লুকোনোর চেষ্টা করেন। অনেকে হলের বেসমেন্ট ও ছাদেও আশ্রয় নেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কনসার্ট হল থেকে কালো ধোঁয়া ও আগুন বের হচ্ছে। তিনটি হেলিকপ্টার গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। মধ্যরাত পার করার পর ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

হামলাস্থল।

এই হামলার নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি। আমেরিকার তরফেও এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।