লিভিভের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে ও লিভিভ সিটি হলে সারিবদ্ধভাবে ১০৯টি স্ট্রোলার বা প্রাম সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কোনওটির ভিতরে সাজিয়ে রাখা রয়েছে টেডি বিয়ার, কোথাও আবার রাখা সুন্দর করে সাজানো রয়েছে ফুল। পাশেই বেঞ্চে ইউক্রেনের পতাকা হাতে বসে রয়েছে ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ে।
প্রতিটি স্ট্রোলারই আসলে যুদ্ধের জেরে অকালে প্রাণ হারানো এক একটি শিশুকেই তুলে ধরেছে। ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহৃত ওই স্ট্রোলারগুলি যুদ্ধের ভয়াবহতাকেই তুলে ধরছে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই প্রতীকী প্রতিবাদ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরই একের পর এক শহরকে নিশানা বানিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ থেকে শুরু করে খারকিভ, মোরিটোপোল, লিভিভ সহ একাধিক শহরের উপরে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করছে রুশ সেনা। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে বড় বড় বাড়ি-ঘর, আবাসন, প্রশাসনিক দফতর। যুদ্ধের শুরুতে যে শহরগুলির উপরে হামলা চলছিল, তারপরই লক্ষাধিক মানুষ অন্যান্য শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই সীমান্ত পার করে রোমানিয়া, পোল্যান্ডের মতো দেশেও চলে গিয়েছেন।
এক ইউক্রেনীয় মহিলা রাশিয়ার মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা একবার মনে করুন যে নিজেদের সন্তান যখন ছোট ছিল, তখন তারাও তো এইধরনের স্ট্রোলারে বসে থাকত। কিন্তু এখন অনেকেই আর স্ট্রোলারে চড়তে পারবে না, কারণ তাঁরা আর বেঁচেই নেই। নিজেদের সন্তানদের প্রতি অনুভূতির কথা একবার ভাবুন, আর এই সন্তানহারা মায়ের কথা ভাবুন। আমি কোনও ফাঁকা স্ট্রোলার দেখতে চাই না।”