Russia-Ukraine Talk: যুদ্ধ না থামলেও বরফ গলল সামান্য, ‘মানবিক করিডর’ তৈরিতে রাজি ইউক্রেন-রাশিয়া

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রধান পরামর্শদাতা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানান, সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে সংঘর্ষস্থল থেকে বের করে আনার জন্য দুই পক্ষই সাময়িক সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।

Russia-Ukraine Talk: যুদ্ধ না থামলেও বরফ গলল সামান্য, 'মানবিক করিডর' তৈরিতে রাজি ইউক্রেন-রাশিয়া
বৈঠক শেষের পর হাত মেলাল দুই পক্ষ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2022 | 7:58 AM

কিয়েভ: প্রথম দফার আলোচনায় ফল মেলেনি কিছুই। দ্বিতীয় দফায় সামান্য হলেও সমঝোতায় রাজি হল রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict)। গত বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এরপর থেকেই ইউক্রেনের উপরে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনা। যুদ্ধ থামাতেই গত সপ্তাহে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশ, কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও রফাসূত্রই মেলেনি। বৃহস্পতিবার ফের একবার বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেন। সেখানে যুদ্ধ থামানো নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র না মিললেও, সাধারণ মানুষদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনার জন্য় মানবিক করিডর (Humanitarian Corridor) তৈরিতে রাজি হল দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষ হওয়ার পরই ইউক্রেনের এক মধ্যস্থতাকারী জানান, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে যে ফল আশা করেছিল, তা মেলেনি। তবে দুই পক্ষই গোলাগুলির মাঝ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য মানবিক করিডর তৈরি করতে রাজি হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রধান পরামর্শদাতা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানান, সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে সংঘর্ষস্থল থেকে বের করে আনার জন্য দুই পক্ষই সাময়িক সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। রাশিয়ার এক প্রতিনিধিও এই কথা স্বীকার করেন এবং দ্রুত এই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।

তবে কীভাবে এই উদ্ধারকার্য করা হবে বা সংঘর্ষবিরতির শর্ত কী কী থাকবে, সে বিষয়েও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রধান পরামর্শদাতা। গোটা দেশজুড়ে নয়, বরং যে জায়গাগুলিকে মানবিক করিডর হিসাবে চিহ্নিত করা হবে, সেই জায়গাগুলিতেই উদ্ধারকার্য চলাকালীন আক্রমণ বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

একইসঙ্গে যে জায়গাগুলিতে চরম সংঘর্ষ চলছে, সেখানে আটকে পড়া সাধারণ মানুষদের জন্য খাবার ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহের শর্তেও দুই পক্ষ রাজি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথম দুই দেশ আলোচনায় সাধারণ মানুষদের সুরক্ষার কথা ভেবে কোনও প্রস্তাবে সহমত পোষণ করা হল।

অন্য়দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি পশ্চিমী দেশগুলিকে সামরিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সম্প্রতিই তিনি রাশিয়ার বিমানে নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন দেশের এয়ারস্পেস বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারও সেই প্রসঙ্গই টেনে তিনি বলেন, “যদি আপনাদের আকাশপথ বন্ধ করার ক্ষমতা না থাকে, অন্তত আমাকে বিমান দিন! যদি আমাদের দেশ দখল করে নেয় রুশ সেনা, তবে ঈশ্বর না করুক, কিন্তু লাটভিয়া, লিথিয়ানিয়া, এস্টোনিয়াই পরবর্তী নিশানা হতে চলেছে।”

এদিকে, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরোভ সম্ভাব্য নিউক্লিয়ার যুদ্ধের জন্য পশ্চিমী দেশগুলিকেই দায়ী করেছেন। রাশিয়া নয়, পশ্চিমী দেশগুলিই নিউক্লিয়ার যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে বলে তিনি দাবি করেন।

আরও পড়ুন: Ukraine President Wants to Talk with Putin: ‘আমি কামড়াব না, ভয় কীসের?’, যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে নয়া প্রস্তাব জ়েলেনস্কির