Bangladesh: পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ অপছন্দ এই বাংলাদেশের! ভাঙা হল ভারতের বিজয়-মূর্তি
Bangladesh: ভারতের কাছে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ বোধহয় নতুন বাংলাদেশের পছন্দ হচ্ছে না। না-হলে কেন এই মূর্তি ভাঙা হবে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তিকে স্মরণীয় করে রাখা মূর্তির উপর কার আক্রোশ থাকতে পারে? মূর্তি ভাঙার ছবি প্রকাশ করে নিন্দা করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
ঢাকা: শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর বাংলাদেশ কি এখন পুরোপুরি জামাতে ইসলামিদের দখলে চলে গিয়েছে? যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল? না-হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তিকে স্মরণীয় করে রাখা মূর্তির উপর কার আক্রোশ থাকতে পারে? খুলনার মুজিবনগরে ১৯৭১ সালের শহিদ মেমোরিয়াল চত্বরে একাত্তরের যুদ্ধের পর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মুহূর্তটি একটি ভাস্কর্যে ধরা ছিল। ‘ছাত্র আন্দোলনে’র জেরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বাংলাদেশ জুড়ে যে নৈরাজ্য চলছে, তার শিকার হয়েথে সেই ভাস্কর্যটিও। যা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গর্বের মুহূর্ত। তাই প্রশ্ন জাগছে আন্দোলন করল ছাত্রছাত্রীরা, আর তার ক্ষীর কি খেল জামাতে ইসলামির মতো পাকিস্তানপন্থীরা? নাহলে, পাকিস্তান সেনার আত্মসমর্পণের মূর্তি আর কারা মুছে দিতে পারে?
সোমবার (১২ অগস্ট), সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মূর্তি ভাঙার ছবি প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেছেন, ভারত-বিরোধী দাঙ্গাবাজরা এই কাজ করেছে। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “ভারত-বিরোধী দাঙ্গাবাজদের হাতে মুজিবনগরে ১৯৭১ সালের শহিদ মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সে মূর্তি ধ্বংসের মতো ছবিগুলি দেখে দুঃখ হচ্ছে। মুসলিম অসামরিক ব্যক্তিরা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বাড়ি এবং উপাসনালয়গুলিকে রক্ষা করছে এমন খবর পেলেও, বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মন্দির এবং হিন্দুদের বাড়িতে লজ্জাজনক হামলা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের অ্যাজেন্ডা বেশ স্পষ্ট। মহম্মদ ইউনুস এবং তার অন্তর্বর্তী সরকারকে, সকল ধর্মের সকল বাংলাদেশির স্বার্থে আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি পদক্ষেপ করতে হবে। এই অস্থির সময়ে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, কিন্তু এ ধরনের নৈরাজ্যকর বাড়াবাড়িকে, কখনই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না।”
Sad to see images like this of statues at the 1971 Shaheed Memorial Complex, Mujibnagar, destroyed by anti-India vandals. This follows disgraceful attacks on the Indian cultural centre, temples and Hindu homes in several places, even as reports came in of Muslim civilians… pic.twitter.com/FFrftoA81T
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) August 12, 2024
প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা চেয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই যুদ্ধে একদিকে যেমন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। তেমনই, পাকিস্তানেরও দর্পচূর্ণ হয়েছিল। ভারতীয় সেনার কাছে যুদ্ধে পরাজয়, তাদের জোর ধাক্কা দিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান সেনা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর-জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি তাঁর ৯৩,০০০ সৈন্য নিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তৎকালীন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরার পাশে বসে, মেজর-জেনারেল নিয়াজির ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার’-এ স্বাক্ষরের চিত্র অমর হয়ে রয়েছে উপমহাদেশের ইতিহাসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর পর, বিশ্বের ইতিহাসে এটা ছিল সবথেকে বড় আত্মসমর্পণের ঘটনা। সেই মুহূর্তেরই ভাস্কর্য ছিল মুজিব নগরের শহিদ মেমোরিয়াল চত্বরে। শহিদ মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)