Breast Cancer: হাতে সময় ছিল কয়েক মাস, স্তনের ক্যান্সারকে হারালেন ভারতীয় মহিলা! পরীক্ষামূলক ওষুধ দিচ্ছে নতুন আশা

Indian-Origin Woman Cancer-Free: স্তনের ক্যান্সারে আক্রান্ত এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভারতীয় মহিলাকে ডাক্তাররা মাত্র কয়েক মাস সময় দিয়েছিলেন। এক পরীক্ষামূলক ওষুধে তিনিই এখন পুরো ক্যান্সার মুক্ত।

Breast Cancer: হাতে সময় ছিল কয়েক মাস, স্তনের ক্যান্সারকে হারালেন ভারতীয় মহিলা! পরীক্ষামূলক ওষুধ দিচ্ছে নতুন আশা
ক্যান্সার জয় করলেন দুই সন্তানের মা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জেসমিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 12:39 PM

লন্ডন: ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন তাঁর হাতে আর মাত্র কয়েক মাস সময় রয়েছে। স্তনে দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছিল ক্যানসারের জীবাণু।। জীবনের সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জেসমিন ডেভিড। ভেবেছিলেন ২৫তম বিবাহবার্ষিকীটা আর দেখা হবে না। সোমবার (৪ জুলাই) ম্যানচেস্টারের ফলোফিল্ডের এই ৫১ বছরের মহিলাই জীবন উদযাপন করা শুরু করলেন। কারণ, চিকিত্সকরা তাঁকে জানিয়েছেন, স্তন ক্যান্সারের আর কোনও অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে না। আর এটা সম্ভব হল, যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার এ পরীক্ষামূলক চিকিৎসায়। এই ঘটনা স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে, জেসমিন তাঁর স্তনের উপরে একটি পিণ্ড অনুভব করেছিলেন। ধরা পড়েছিল তাঁর স্তন ক্যান্সার। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে কেমোথেরাপি এবং মাস্টেক্টমি করিয়েছিলেন। তারপরে রেডিওথেরাপির ১৫টি চক্র তাঁর শরীর থেকে ক্যান্সারের কোষ সাফ কর দিয়েছিল। পরের ১৫ মাস তিনি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলেন যে তাঁর কখনও ক্যান্সার হয়েছিল। কিন্তু, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ফের ক্যান্সার ফিরে আসে তাঁর শরীরে। স্ক্যানে দেখা গিয়েছিল শরীরে একাধিক ক্ষত তৈরি হয়েছে। ফুসফুস, লিম্ফ নোড এবং বুকের হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যান্সারের জীবাণু।

এর দুই মাস পরে, জেসমিনকে ওই পরীক্ষামূলক চিকিৎসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ‘অ্যাটেজোলিজুমাব’ নামে একটি ইমিউনোথেরাপি ওষুধের সঙ্গে একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ দেওয়া হয়। দুই বছর ধরে, প্রতি তিন সপ্তাহে একবার করে তাঁর শিরায় ওই দুই ওষুধের মিশ্রন দেওয়া হয়। জেসমিন বলেছেন, ‘আমাকে যখন প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি জানতাম না এটা কাজ করবে কিনা। তবে ভেবেছিলাম অন্তত আমি অন্যদের সাহায্য করতে পারব। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমার শরীরকে ব্যবহার করতে পারব।’ প্রথমদিকে অবশ্য এই চিকিৎসায় ভয়ঙ্কর মাথাব্যথা, জ্বরের মতো বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালেও থাকতে হয়েছিল। অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। তবে, কয়েকদিন পর থেকে তিনি চিকিত্সায় সাড়া দিতে শুরু করেন। আর এখন একেবারে ক্যান্সার মুক্ত। তবে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

জেসমিন জানিয়েছেন, তিনি খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসী। এই বিশ্বাস তাঁকে সুস্থ হয়ে ওঠার পথে অনেক সাহায্য করেছে। পরিবার এবং বন্ধুদের প্রার্থনা এবং সমর্থন তাঁকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার শক্তি দিয়েছে। তচাঁর চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘জেসমিনের ক্ষেত্রে যে এত ভাল ফলাফল পাওয়া গিয়েছে, এতে আমরা সত্যিই খুব খুশি। এখানে আমরা ক্রমাগত নতুন ওষুধ এবং থেরাপি পরীক্ষা করি। সঙ্গে যাচাই করী সেগুলি আরও বেশি লোককে উপকৃত করতে পারে কি না। সাফল্য পেলে তাই খুব ভাল লাগে।’