US Cop: জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি ফেরালো কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু, খুনের মামলা পাঁচ মার্কিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে
Black Lives Matter: ২০২০ সালের মে মাসে এক পুলিশ অফিসারের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছিল জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির। সেই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছিল গোটা আমেরিকা। মেমফিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলাসের মৃত্যুর ঘটনা ফিরিয়ে দিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি।
ওয়াশিংটন: কৃ্ষ্ণাঙ্গ এক যুবকের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল আমেরিকার পুলিশ বিভাগের পাঁচ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল অভিযুক্ত অফিসারদের। এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হল। কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনা এ বছরের শুরুর সপ্তাহে ঘটেছিল মেমফিসে। এর পরই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জো বাইডেন আন্দোলনকারীদের শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ জানান। ২০২০ সালের মে মাসে এক পুলিশ অফিসারের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছিল জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির। সেই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছিল গোটা আমেরিকা। মেমফিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলাসের মৃত্যুর ঘটনা ফিরিয়ে দিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি। অনভিপ্রেত ঘটনা সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করেছে সে দেশের প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, ৭ জানুয়ারি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন টায়ার নিকোলাস নামের ২৯ বছরের এক যুবক। সে সময় মেমফিস পুলিশ ডিপার্টেমেন্টের কয়েক জন অফিসার নিকোলাসের গাড়ি আটকায়। বিপদজনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নিকোলাসের গাড়়ি আটকানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মেমফিস পুলিশ বিভাগ। তখনই তাড়া করে নিকোলাসের গাড়ি আটকানো হয়। এর পর পাঁচ জন পুলিশ অফিসার ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই পাঁচ পুলিশ অফিসারও কৃষ্ণাঙ্গ বলে জানা গিয়েছে। এতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিকোলাস। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ জানুয়ারি সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এর পরই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু করে। পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে উঠে আসে অভিযুক্ত পাঁচ অফিসার অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছিলেন। যার প্রয়োজন ছিল না বলে মত পুলিশ বিভাগের। এর পর পুলিশ বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই পাঁচ অফিসারকে। এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ।
২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা আমেরিকাকে। মিনেপোলিসের এক পুলিশ অফিসার কী ভাবে জর্জ ফ্লয়েডের গলায় পা চেপে ধরেছিলেন তা দেখেছিলেন গোটা বিশ্ব। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়ে মার্কিন পুলিশকে।