Afghanistan: যেকোনও সময়ে ঘটতে পারে বড় বিপদ, কাবুলের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ দিল আমেরিকা-ব্রিটেন

US-UK Warns Citizen in Kabul: সোমবার সকালেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে সতর্কবার্তা জারি করে বলা হয়, "মার্কিন নাগরিক যারা কাবুলের সেরেনা হোটেলে বা তার আশেপাশে কোথাও থাকছেন, তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন শীঘ্রই ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যান।"

Afghanistan: যেকোনও সময়ে ঘটতে পারে বড় বিপদ, কাবুলের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ দিল আমেরিকা-ব্রিটেন
হামলা হতে পারে হোটেলে। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2021 | 11:45 AM

কাবুল: ফের হামলার বড়সড় হামলার আশঙ্কা কাবুলে (Kabul)। আমেরিকা (US) ও ব্রিটেনের (UK) তরফে তাদের দেশের নাগরিকদের দূরে থাকতে বলা হয়েছে কাবিলের বিখ্যাত সেরেনা হোটেল (Serena Hotel) থেকে। গোপন সূত্রে খবর, নাশকতার জন্য এই হোটেলকেই নিশানা বানিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা।

সোমবার সকালেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে সতর্কবার্তা জারি করে বলা হয়, “মার্কিন নাগরিক যারা কাবুলের সেরেনা হোটেলে বা তার আশেপাশে কোথাও থাকছেন, তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন শীঘ্রই ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যান। ওই অঞ্চলে থাকলে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে।”

অন্যদিকে, ব্রিটেনের তরফে আগেই নাগরিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছিল, তারা যেন আপাতত আফগানিস্তানে না যান। এ দিন সকালে সেই নির্দেশিকাতেই আরও যোগ করে বলা হয়, “সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কায় আপনাদের বিশেষত কাবুলের হোটেলে থাকতে নিষেধ করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, এই সেরেনা হোটেল কাবুলের অন্যতম বিলাসবহুল হোটেল। অগস্ট মাসে তালিবানের ক্ষমতা দখলের আগে বিদেশ থেকে আগত পর্যটক সহ অন্যান্যদের থাকার অন্যতম সেরা জায়গা ছিল এই হোটেল। তবে এর আগেও দু’বার এই হোটেলে হামলা চালানো হয়েছিল। ২০০৮ সালে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ৪ জন কিশোর অস্ত্র সহ হোটেলের ভিতর ঢুকে পড়ে।

সে সময়ে জানা গিয়েছিল, ওই ৪ কিশোর পায়ের মোজার ভিতরে পিস্তল লুকিয়ে রেখেছিল। হোটেলে ঢোকার জন্য একাধিক নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকলেও তারা নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হোটেলে উপস্থিত ৯ জনকে হত্যা করে। এই ঘটনায় সংবাদসংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক ও তাঁর পরিবারকেও হত্যা করা হয়। মনে করা হয়, ওই সাংবাদিককে হত্যা করতেই হোটেলে আততায়ী পাঠানো হয়েছিল।

বর্তমানেও আফগানিস্তানের অবস্থা খুব একটা ভাল না। তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নিশানা হয়ে উঠেছে আইসিস-খোরাসান গোষ্ঠীর। কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা থেকে শুরু করে জালালাবাদ, বারবার আইসিস-কের হামলার শিকার হয়েছে তালিবানরা। গত সপ্তাহেই আফগানিস্তানের কুন্দুজ় শহরে শিয়া মসজ়িদে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তালিবানের। প্রথমে কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও পরে আইসিস-খোরাসান জানায় যে, তারাই হামলা চালিয়েছিল মসজিদে।

তার আগেও কাবুলের ইদ গাহ মসজিদে প্রার্থনা চলাকালীন হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয় ও ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে তালিবান বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। জানা গিয়েছে, তালিবান মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদের মা গত সপ্তাহেই প্রয়াত হন। তাঁর স্মৃতিতেই ওই প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

এ দিকে, তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিনও আমেরিকার সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে আইসিস গোষ্ঠীর আধিপত্য বাড়লেও, তাদের দমন করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনও প্রকার সমঝোতায় যাবে না তালিবান সরকার। তারা একাই দইস (আইসিসের আরব নাম)-কে গোষ্ঠীকে দমন করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: US-Taliban Talk: ‘সরকারের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার মতো কিছু করবেন না’, প্রথম সাক্ষাতেই আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি তালিবানের