ফাইজ়ারকে জরুরিভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগে অনুমোদন হু-র
হু(WHO)-র তরফে জানানো হয়, পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে সুরক্ষা ও কার্যকারীতার যে মানদণ্ড স্থির করা হয়েছে, তা পার করতে সফল হয়েছে ফাইজ়ার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিন।
জেনেভা: নববর্ষে করোনা টিকার (COVID-19 Vaccine) অনুমোদনই বিশ্ববাসীকে উপহার হিসাবে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। বৃহস্পতিবার বিকেলেই জানানো হয়, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের (Emergency Use) জন্য ফাইজ়ার বায়োএনটেক (Pfizer-BioNTech)-কে ছাড়পত্র দেওয়া হল। এরফলে গরীব ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলিও শীঘ্রই করোনা টিকা পেতে সক্ষম হবে।
ইতিমধ্যেই ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ফাইজ়ারের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি দেশের আলাদাভাবে একটি ওষুধ নিয়ামক সংস্থা থাকলেও আক্ষরিক অর্থে পিছিয়ে পড়া বহু দেশই টিকাকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকেই তাকিয়ে থাকে। এই সম্মতির ফলে সেই দেশগুলিও দ্রুত নিজেদের দেশে ভ্যাকসিন আমদানি করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নববর্ষেই দেশে করোনা টিকা? আজ বৈঠকে বিশেষজ্ঞ কমিটি
করোনা ভ্যাকসিন ফাইজ়ারের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে সম্মতি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, “এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আমদানি ও প্রয়োগের জন্য নিজেদের ভ্যাকসিন অনুমোদন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।” হু(WHO)-র তরফে জানানো হয়, পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, সুরক্ষা ও কার্যকারীতার যে মানদণ্ড স্থির করা হয়েছে, তা পার করতে সফল হয়েছে ফাইজ়ার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিন। এছাড়াও আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ ও আরও বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র পেয়েছে এই ভ্যাকসিন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মতি মিললেও ফাইজ়ারের পথের কাটা হয়ে উঠেছে সংরক্ষণ পদ্ধতি। এই ভ্যাকসিনকে অতি ঋণাত্বক তাপমাত্রায় (Ultra-Frozen Temperatures) সংরক্ষণ করতে হয়, যার পরিকাঠামো বহু দেশের কাছেই না থাকায় আমদানিও অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে বলা হয়, “যেসমস্ত জায়গায় অতি শীতল কোল্ডচেইন নেই, সেখানে ভ্যাকসিন রপ্তানি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিকই। তবে বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন আমদানি পরিকল্পনা ও ব্যবহারে সাহায্য করতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে হু (WHO)। ”
আরও পড়ুন: ‘বিশ ক্ষয়ের’ শেষে নতুন বছরের সূচনা, পা পড়ল একুশে