AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Budget 2024: বাজেট পেশের পরই দেশভাগের কথা কংগ্রেস নেতার মুখে! তুঙ্গে বিতর্ক

Budget 2024: বাজেট পেশের পরই, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতকে উন্নয়নমূলক তহবিল থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ ডিকে সুরেশ কুমার। তাঁর অভিযোগ, বাজেটের মধ্য দিয়ে বিজেপির বিভেদকামী মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। উত্তর ভারতকে বেশি বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে, এখানেই থামেননি তিনি। এই সমস্যার সুরাহা না হলে, দক্ষিণ ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে, 'আলাদা দেশে' পরিণত করতে হবে।

Budget 2024: বাজেট পেশের পরই দেশভাগের কথা কংগ্রেস নেতার মুখে! তুঙ্গে বিতর্ক
কংগ্রেস সাংসদ ডিকে সুরেশImage Credit: ANI
| Updated on: Feb 01, 2024 | 9:56 PM
Share

বেঙ্গালুরু: অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পরই ফের উসকে উঠল উত্তর বনাম দক্ষিণ ভারত বিতর্ক। গত বছরের শেষে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর, এই বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি, বিশেষ করে গোবলের রাজ্যগুলিকে ‘গোমূত্র রাজ্য’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এক ডিএমকে সাংসদ। এবার, বাজেট পেশের পরই, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতকে উন্নয়নমূলক তহবিল থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ ডিকে সুরেশ কুমার। তাঁর অভিযোগ, বাজেটের মধ্য দিয়ে বিজেপির বিভেদকামী মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। উত্তর ভারতকে বেশি বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে, এখানেই থামেননি তিনি। এই সমস্যার সুরাহা না হলে, দক্ষিণ ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে, ‘আলাদা দেশে’ পরিণত করতে হবে, এমনও দাবি করেছেন তিনি। আর এই নিয়েইশুরু হয়েছে দেশব্যাপী বিতর্ক।

কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে রাজ্যের প্রাপ্য অংশ দেওয়া হচ্ছে না বলে, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়মিত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই অভিযোগ কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকেও। এদিন কংগ্রেস সাংসদ ডিকে সুরেশ কুমার বলেন, “প্রতিটি পর্যায়ে এবং সমস্ত বিষয়ে দক্ষিণ ভারতের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। আমরা আমাদের প্রাপ্য অর্থ চাই। জিএসটি, কাস্টম, প্রত্যক্ষ কর – সমস্ত ক্ষেত্রে আমরা আমাদের ন্যায্য অংশ পেতে চাই। উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রাপ্য অর্থের অংশ, উত্তর ভারতে বিলি করা হচ্ছে। আগামী দিনে আমরা যদি এর নিন্দা না করি, তাহলে হিন্দিভাষী অঞ্চলের পরিস্থিতির ফলে আমাদেরকে একটি পৃথক দেশের দাবি জানাতে হবে।”

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্য কংগ্রেস একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে অভিযোগ করেছে, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অন্যতম চালক কর্নাটক। কিন্তু, কেন্দ্র রাজ্যকে তার প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না। রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র এম লক্ষ্মণ দাবি করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কর্পোরেট এবং অন্যান্য কর বাবদ কর্নাটক দেশকে ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩৭,২৫২ কোটি টাকার কর হস্তান্তর করা হয়েছে। জিএসটি বাবদ রাজ্য প্রায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র ফেরত দিয়েছে মাত্র ১৩,০০৫ কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন করের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে কর্নাটক। কিন্তু, রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বদলে, কেন্দ্র কর্নাটককে দিচ্ছে ৫০,২৫৭ কোটি টাকা। এর আগে একই ধরনের অভিযোগ করেছে কেরাল, তামিলনাড়ু থেকেও।

তবে, ডিকে সুরেশ কুমার দেশভাগের কথা তোলায় বিষয়টি অন্য মাত্রা নিয়েছে। কর্নাটকের কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা চালুবাদী নারায়ণস্বামী। তাঁর মতে, কংগ্রেস ‘ভারত জোড়ো’ নয় ‘ভারত ভাঙা’র খেলায় মেতেছে। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের এই মানসিকতাই দেশকে ভাগ করছে। তারা ১৯৪৭ সালেও একই কাজ করেছিল। রাহুল গান্ধী যখন ভারত জোড়ো যাত্রা করছেন, তখন কংগ্রেস নেতারা উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতকে ভাগ করার কথা বলছে। তিনি সংবিধানকে সমুন্নত রাখার এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার শপথ নিয়েছেন। তারপর এই কথা তিনি কীকরে বলতে পারেন?”

বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেছেন, “ধর্ম, ভাষা এবং আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে দেশ ভাগ করা কংগ্রেস দলের পক্ষে নতুন কোনও বিষয় নয়৷ কর্নাটকের এক কংগ্রেস সাংসদ পৃথক দক্ষিণ ভারতের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। ডিএমকে-সহ কংগ্রেসের বেশিরভাগ মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী লাইনে কথা বলছে।তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে দক্ষিণের রাজ্যগুলি বিশেষ করে কর্নাটককে আংশিক তহবিল দেওয়া হচ্ছে। তার ভিত্তিতে তিনি একটি পৃথক দেশের দাবি তুলেছেন। তার মন্তব্যে জিন্না-শৈলীর বিচ্ছিন্নতাবাদের উদ্রেক হয়েছে। তার বক্তব্য, যুক্তি ও তথ্যের বাইরে গিয়ে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সুরের নিন্দা করা উচিত।”