জালিয়াতির শিকার হলে দায় নেবে না ব্যাঙ্ক, পর্যবেক্ষণ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের
তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা শোনাল গুজরাটের ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
গুজরাট: ক্রমশ প্রবণতা বাড়ছে ফোন মারফত এটিএম জালিয়াতির। যার ফলে ফোনের মাধ্যমে এটিএম কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে হ্যাকাররা লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বারবার ওটিপি, পিন ও ব্যাঙ্কের তথ্য অন্য কাউকে জানাতে না বলা হলেও একই পদ্ধতিতে বারবার জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এ বার সেই বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা শোনাল গুজরাটের ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন কুরজি জাভিয়া নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি বর্তমানে আইন চর্চা করছেন। ৩ বছর আগে তিনি একজন হ্যাকারকে তাঁর এটিএমের কার্ডের তথ্য জানিয়েছিলেন। প্রতারক তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। এরপরই এটিএম কার্ডের তথ্য নিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪১ হাজার ৫০০ টাকা তছরূপ হয়ে যায়।
এরপর জাভিয়া স্টেট ব্যাঙ্কের নগনাথ শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনও সহায়তা না পেয়ে, সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দাবি করে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে জানায়, একাধিকবার সতর্কবার্তা পাওয়া সত্ত্বেও জুভিয়ার তা অবমাননা করা উচিত হয়নি। তাই এই দায় নেবে না ব্যাঙ্ক।