Personal Loan: যে কটা বিষয় খেয়াল রাখলে সহজেই লোন দেবে ব্যাঙ্ক…

Personal Loan: যেকোনও ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেই ক্রেডিট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ও কতদিনের মধ্য়ে সেই বকেয়া অর্থ শোধ করছেন, তাই-ই দেখা হয় ক্রেডিট স্কোরের মাধ্যমে।

Personal Loan: যে কটা বিষয় খেয়াল রাখলে সহজেই লোন দেবে ব্যাঙ্ক...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 7:04 AM

নয়া দিল্লি: চিকিৎসার কারণেই হোক বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত দরকার, অনেক সময়ই হঠাৎ অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে যায়। অন্যের কাছে হাত পাতার বদলে, ঋণ নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন অধিকাংশ মানুষ। আর্থিক প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়াই প্রথম পছন্দ হয় সকলের। কিন্তু ঋণ পাওয়া তো সহজ নয়। ব্যাঙ্কের একাধিক শর্ত পূরণ করতে পারলে, তবেই ঋণ পাওয়া যায়। সহজে যদি ঋণ পেতে চান, তবে এই শর্তগুলি মেনে চলা উচিত।

চিকিৎসার খরচ বহন করতে, বকেয়া টাকা মেটাতে, এমনকি ঘুরতে যাওয়ার জন্যও অনেকেই ব্যক্তিগত ঋণ নেন। সঠিক ঋণদাতার কাছ থেকে যদি আপনি ঋণ নেন, তবে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি যেমন কমে যায়, তেমনই একাধিক সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যায়।  সহজেই যাতে ব্য়ক্তিগত ঋণ পেতে পারেন, তারজন্য এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন-

১. ভাল ক্রেডিট স্কোর-

যেকোনও ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেই ক্রেডিট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ও কতদিনের মধ্য়ে সেই বকেয়া অর্থ শোধ করছেন, তাই-ই দেখা হয় ক্রেডিট স্কোরের মাধ্যমে। ৩০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে থাকে এই ক্রেডিট স্কোর। আপনি আদৌই ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা, তা ক্রেডিট স্কোর দেখেই নির্ধারণ করা হয়। ঋণ পাওয়ার জন্য আপনার ক্রেডিট স্কোর ৭৫০-র উপরে থাকতে হবে। যদি আপনার ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকে, তবে কম সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন আপনি। আপনার ক্রেডিট স্কোর কম থাকলেও ঋণ পেতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে চড়া হারে সুদ দিতে হবে। প্রত্য়েক অর্থবর্ষেই বিনামূল্যে একবার ক্রেডিট রিপোর্ট দেখা যায়। সেই রিপোর্টেই ক্রেডিট স্কোরের উল্লেখ থাকে। আপনি যদি সঠিক সময়ে ইএমআই দেন এবং ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ৩০ শতাংশের নীচে রাখেন, তবে ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকবে।

২. ইএমআই-র হিসাব রাখুন-

ঋণ পরিশোধের জন্য মাসিক ও বার্ষিক ইএমআইয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। যদি আপনার মাসিক ঋণ পরিশোধের হার আয়ের ৬০ শতাংশের নীচে থাকে, তবে ঋণ পেতে সুবিধা হয়। এই হার পার করে গেলে, ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকটাই। সেই কারণেই ঋণ নেওয়ার আগে আপনি প্রতি মাসে কত টাকা ইএমআই বাবদ খরচ করতে পারবেন, তা হিসাব করে নেওয়া উচিত। মাসিক বাকি খরচগুলিও এই ঋণ নেওয়ার আগে মাথায় রাখা উচিত।

৩.ঋণের জন্য একাধিক আবেদন করবেন না- 

আপনি আদৌই ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন কিনা, তা ঋণ দেওয়ার আগেই যাচাই করে দেখেন ঋণদাতারা। ব্যাঙ্কের তরফে ক্রেডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি কম সময়ের মধ্যেই একাধিক ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য আবেদন করেন, তবে সেই রিপোর্টও ব্যাঙ্কের কাছে চলে আসে। একাধিক ঋণের আবেদনের প্রভাব সরাসরি ক্রেডিট স্কোরের উপরে পড়ে। তাই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে একসঙ্গে একাধিক জায়গায় আবেদন না করাই শ্রেয়। এর বদলে আপনি অনলাইনেই একাধিক ব্যাঙ্কের ঋণের নিয়ম ও সুদের হার যাচাই করে নিতে পারেন কোনও একটি ব্য়াঙ্ক বা ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় আবেদনের জন্য।

৪. ঋণের বোঝা ভাগ করে নিন-

একান্তই যদি ঋণ নিতে হয়, তবে ঋণের বোঝা কারোর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই শ্রেয়। অর্থাৎ ঋণের আবেদনের সময় কো-অ্যাপ্লিকেন্ট রাখা উচিত। এতে কম আয়ের জন্য বা খারাপ ক্রেডিট স্কোরের কারণে ঋণের আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। যদি আপনার সঙ্গীর ক্রেডিট স্কোর ভাল হয়, তবে সহজেই ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।