Share Market: গরম বাজারেও ‘ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি’ যে সব শেয়ার, জাগলেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ
Share Market: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য দেশের মতো ভারতের বাজারেও বেড়েছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম। তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে ইনফোসিস, উইপ্রোর মতো শেয়ারগুলি। শুক্রবার ইনফোসিসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকার বেশি।
কলকাতা: বিগত কয়েক মাস মন্দা দশা চললেও বছরের শেষ লগ্নে এসে যেন ঘুরতে থাকে খেলা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই হু হু করছে একাধিক নামজাদা স্টকের দাম। সর্বকালের সেরা উচ্চতায় পৌঁছে যেতে দেখা যায় সেনসেক্স-নিফটিকে। শুক্রবার ট্রেডিং শেষে দেখা যায় BSE সেনসেক্স ৩০৪ পয়েন্টের বিশাল লাফ দিয়ে ৬৯ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বেড়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জও। নিফটি ৬৯ পয়েন্টের লাফ দিয়ে ২০ হাজার ৯৭০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখনও বাজারে এমন কিছু স্টক আছে যেগুলি কার্যত সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো পড়ে রয়েছে। আগুনে ঘি পড়লেই সেগুলিও বাড়তে পারে হু হু করে। এখন শুধু অপেক্ষা ঘুমন্ত অবস্থা থেকে জেগে ওঠার।
ইনফোসিস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য দেশের মতো ভারতের বাজারেও বেড়েছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম। তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে ইনফোসিস, উইপ্রোর মতো শেয়ারগুলি। শুক্রবার ইনফোসিসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকার বেশি। নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৯১ টাকা। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, শেয়ার বাজারে যেভাবে ঊর্ধগতি দেখা যাচ্ছে তাতে এই শেয়ারের সঙ্গে দাম আরও বাড়াত। কিন্তু আমেরিকার মন্দা দশার প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামে। ভারতে ব্যবসা করলেও মূল ব্যবসা মার্কিন মুলুকেও। কিন্তু সে দেশের ফেডারেল ব্যাঙ্ক এখনও কমায়নি ইন্টারেস্ট রেট। উল্টে আরও বাড়িয়ে চলেছে। ফলে ব্যবসার অনকূল পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
উইপ্রো
অন্যদিকে খানিকটা একই অবস্থা উইপ্রোর শেয়ারের। ইউরোপ কেন্দ্রীয় এই সংস্থার ব্যবসা রয়েছে বহু দেশে। কিন্তু, বর্তমানে এই শেয়ারের দামে বিগত কয়েক মাসে খুব একটা ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দালাল স্ট্রিট বন্ধের সময় দেখা যায় দাম বেড়েছে মাত্র ৫ টাকার মতো। নতুন দাম দাড়িয়েছে ৪২৪ টাকা। এই শেয়ারের দাম আরও বাড়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কিন্তু, ইউরোপের অর্থনীতির দোদুল্যমান অবস্থাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করে করা হচ্ছে।
এশিয়ান পেইন্টস
বছরের বেশিরভাগ সময় যে শেয়ারের দাম উপরের দিকে থাকতে দেখা যায় তাই বর্তমানে নীচের দিকে। শুক্রবার বাজার বন্ধের দিন দেখা যায় এশিয়ান পেইন্টসের শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৯ টাকা। দাম কমেছে ২২ টাকার বেশি। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো এই সংস্থার শেয়ারের দামও অচিরেই অনেকটা বাড়তে পারে।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।