Kmc Election 2021: পুরভোটে সব বুথে থাকবে সিসিটিভি, নির্দেশ হাইকোর্টের
Kmc Election 2021: ফলাফলের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে, যাতে প্রমাণ পাওয়া সহজ হয়, তাই আদালতে এই আর্জি জানানো হয়েছিল। আপত্তি জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশনও।
কলকাতা : পুরভোটের (KMC Election) আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে চলছে একাধিক মামলা। আজ এক মামলার শুনানিতে সব বুথে সিসিটিভি মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আজ, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। বিধানসভা ভোট নিয়ে যে অশান্তি হয়েছে, তার কথা মাথায় রেখেই এই মামলা হয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও এ বিষয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি।
পুরভোটে এবার বুথের সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় ১৫০০ বুথে হবে ভোটগ্রহণ। সেই সব বুথে সিসিটিভির প্রয়োজন আছে বলে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝি। তাঁর বক্তব্য, শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন যাই হোক না কেন, পরে আদালতে যেতে হলে আর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। তখন এই ফুটেজগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি। এই আর্জিতেই মামলা করেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝি। স্ট্রংরুমেও সিসিটিভির বসানোর আর্জি জানানো হয়।
কমিশন জানায়, তারা ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর বুথে সিসিটিভি বসানোর ব্যবস্থা করেছে। ২০ শতাংশের বেশি বুথে আগেই সিসিটিভি বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়, সব বুথে সিসিটিভি বসানোর জন্য তারা প্রস্তুত। তাদের কোনও সমস্যা নেই। এজলাশে তারা কোনও আপত্তি না জানানোয়, ভোটের দিন সব বুথেই সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এ দিকে, রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় একসঙ্গে ভোট চেয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্যের পুরভোটে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট রাখার দাবিও করা হয়। রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এরমধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম।
দু’জন পুরভোট নিয়ে মামলা দায়ের করেন। দুই মামলাকারীর একজনের বক্তব্য ছিল পুরভোট একসঙ্গে হোক। যদি না হয়, একসঙ্গে যদি গণনা হয়, সেরকমও করা যেতে পারে। আরেক মামলাকারী মৌসুমী রায়ের বক্তব্য ছিল, যেসব পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই, সেই পুরসভাগুলিতে কবে ভোট ঘোষণা হবে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে রাজ্যকে। শুনানির পর সোমবারই রায়দানের কথা ছিল। কিন্তু এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার যে শুনানি চলছে তার উপর ভিত্তি করে তারা আরও একটি জবাব দিতে চায়। তাই এই মমালার রায় এখনও দেয়নি আদালত।
রাজ্য সরকার প্রথমেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তারা কলকাতা ও হাওড়ায় আগে ভোট চায়। ১৯ ডিসেম্বর সেই ভোটের আর্জি জানিয়েছিল শাসকদল। যদিও সেই দাবিতে সিলমোহর পড়েনি। কলকাতায় ১৯ তারিখ ভোট হলেও, হাওড়ায় আপাতত ভোট নয়।
আরও পড়ুন : কী কয় কলকাতা: আদিগঙ্গা আছে সেই আদিতেই, মশার কামড়-কটূ গন্ধে অতিষ্ঠ তিলোত্তমাবাসী