AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Karnataka Congress: সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারের উপরই বাজি, বিরোধ এড়াতে তৃতীয় পথে হাঁটবে কংগ্রেস?

Karnataka CM Selection: কংগ্রেস সূত্রে খবর, শীর্ষনেতারা শিবকুমার বা সিদ্দারামাইয়া-এই দুই নেতার মধ্যে থেকেই কোনও একজনকে বেছে নিতে পারেন। তবে দলের অন্দরে অশান্তির আশঙ্কায় তৃতীয় একটি পথের কথাও ভেবে রাখা হয়েছে।

Karnataka Congress: সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারের উপরই বাজি, বিরোধ এড়াতে তৃতীয় পথে হাঁটবে কংগ্রেস?
কে হবেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী? ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 7:38 AM
Share

বেঙ্গালুরু: নির্বাচনের পালা মিটেছে কর্নাটকে (Karnataka Assembly Election 2023)। পাশা বদলে গিয়েছে দক্ষিণী রাজ্যে। বিজেপি(BJP)-কে সরিয়ে এবার ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস (Congress)। ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস, মাত্র ৬৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। নির্বাচনে এত দারুণ ফল হয়তো প্রত্যাশা করেনি কংগ্রেস নিজেও। তবে মিটতেই এবার কংগ্রেসের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। কর্নাটকের জন্য বাছাই করতে হবে নতুন মুখ্য়মন্ত্রী (Chief Minister)। আপাতত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) ও কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারের (DK Shivakumar) নামই মুখ্য়মন্ত্রীর পদ প্রার্থী হিসাবে সামনে এসেছে। এদিকে, দুই নেতাও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে আগ্রহ দেখাতেই চাপে পড়েছে কংগ্রেস। সরকার গঠনের আগেই অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কা করছে দল। অভিজ্ঞতা নাকি বাস্তব বুদ্ধি, কর্নাটক শাসনের জন্য কাকে বেছে নেবে কংগ্রেস?

ভোটের ফল প্রকাশের আগেই কংগ্রেসের অন্দর মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল যে নির্বাচনে জয়ী হলে কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। কংগ্রেসের অন্দরেই এক পক্ষ নেয় ডিকে শিবকুমারের নাম, অন্য় পক্ষ আবার প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নাম পরামর্শ দেন। এবার কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়েই দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, শীর্ষনেতারা শিবকুমার বা সিদ্দারামাইয়া-এই দুই নেতার মধ্যে থেকেই কোনও একজনকে বেছে নিতে পারেন। তবে দলের অন্দরে অশান্তির আশঙ্কায় তৃতীয় একটি পথের কথাও ভেবে রাখা হয়েছে। সেই পথ হল- দুই নেতার মধ্য়ে ক্ষমতার ভাগাভাগি। অর্থাৎ পাঁচ বছরের সরকারের মেয়াদকালে আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন দুই নেতাই।

সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারকেই কেন পছন্দ?

একদিকে যদি ডিকে শিবকুমারকে দেখা যায়, তবে তাঁকেই কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের অন্য়তম কাণ্ডারি বলা চলে। দলীয় কর্মীদের মন বোঝা থেকে শুরু করে ভোট চাইতে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া, যাবতীয় কাজই করেছেন তিনি। ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে শুরু করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচার, সমস্ত কাজই করেছেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডিকে শিবকুমারের উপরে কংগ্রেসের ভরসা রয়েছে। এর পাশাপাশি আরও একটি বড় কারণ হল শিবকুমার গান্ধী পরিবারের অন্যতম আস্থাভাজন নেতা।

অন্যদিকে, প্রবীণ নেতা সিদ্দারামাইয়াকেও অবহেলা করতে নারাজ কংগ্রেস। তাঁর নেতৃত্বেই অতীতে কর্নাটকে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। সেই সময় সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন ডিকে শিবকুমার। রাজ্যে সিদ্দারামাইয়ার বিপুল জনসমর্থন ও তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে কংগ্রেস।