Manipur Assembly Election: ভোট বড় বালাই, আফস্পা নিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

AFSPA: ডিসেম্বর মাসে নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার পর, নাগাল্যান্ড জুড়ে আন্দোলন চলছে। ঘটনার বিচার চাওয়ার পাশাপাশি নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে।

Manipur Assembly Election: ভোট বড় বালাই, আফস্পা নিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 12:46 PM

ইম্ফল: সামনেই মণিপুর বিধানসভা নির্বাচন (Manipur Assembly Election)। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ ও মার্চের ৩ তারিখ ৬০ বিধানসভা আসনে মণিপুরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন নাগরিকরা। উত্তর পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নিজের মতো করে রাজনৈতিক রণকৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত। এবারের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে আফস্পা (Armed Forces Special Power Act) অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যু। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মণিপুর সরকার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে চায় যাতে কেন্দ্র রাজ্য থেকে আফস্পা তুলে নিতে বাধ্য হয়। আফস্পা নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাই নাগাল্যান্ড, মণিপুরের মতো বেশ কিছু রাজ্যে এই আইন নিয়ে অনেকেরই আপত্তি রয়েছে।

ডিসেম্বর মাসে নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার পর, নাগাল্যান্ড জুড়ে আন্দোলন চলছে। ঘটনার বিচার চাওয়ার পাশাপাশি নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে। ইতমধ্যেই বিচার না পাওয়া অবধি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগিতার কথা জানিয়েছে নাগা সংগঠনগুলি। এই আঁচ যে প্রতিবেশি মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনেও পড়বে তা বলাই বাহুল্য। এনডিটিভিকে বীরেন সিং বলেন, “আফস্পা নিয়ে উত্তর পূর্বে রাজ্যে উদ্বেগ রয়েছে। মণিপুর ইম্ফল মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের সাতটি অংশ থেকে এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগের কংগ্রেস সরকারও পুরোপুরি আফস্পা প্রত্যাহার করতে পারেনি। গ্রেটার মণিপুর এলাকা থেকে তারাও প্রত্যাহার করতে পারেনি কারণ তারা আসল ঘটনাটা জানত। মণিপুরে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমি নিজেই আফস্পার বিরুদ্ধে। তবে রাজ্যের দায়িত্বশীল প্রধান হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা দিকে নজর দেওয়াও আমার দায়িত্ব। আমি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার দিকেও নজর দিচ্ছি। তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের দিকেও নজর দিতে হবে… ভোট সামনে আসতেই বিভিন্ন গোষ্ঠী পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেনার এক কর্ণেল ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও কোথাও বিদ্রোহীরা সক্রিয় রয়েছে। তাঁরা কখনও কখন গ্রেনেড ছুড়ছে। বাস্তবতা দেখতে হবে। আমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না কারণ দেশ সবার আগে।”

প্রসঙ্গত এবার মণিপুর বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত এবারের নির্বাচনে এনপিপির সঙ্গ ছেড়ে নাগাল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়তে পারে বিজেপি। মণিপুরের প্রতিবেশী রাজ্য নাগাল্যান্ডে সেনা বাহিনীর গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সেনা বাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগিতার ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কোন্যক সংগঠনগুলি। এমনকি অনেকেই উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আফস্পা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। আফস্পা প্রত্যাহার মণিপুরের নির্বাচনে অন্যতম প্রধান ইস্যু। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় এলে আফস্পা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন Manipur Assembly Election: দলকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে বিজেপিতে যোগ একমাত্র তৃণমূল বিধায়কের