Punjab Assembly Election: আরও চওড়া ফাটল, ভোট ময়দানে নামা কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল সংযুক্ত কিষান মোর্চা
Samyukt Kisan Morcha: দীর্ঘদিন ধরে এক ছাতার তলায় যে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন কৃষকরা, এবার তাতে ফাটল আরও সুস্পষ্ট হল।
নয়া দিল্লি: সংযুক্ত কিষান মোর্চায় (Samyukt Kisan Morcha) এবার ফাটল আরও চওড়া হল। কেন্দ্রের তরফে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরই আন্দোলন থেকে পিছু হয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সেই সময় সংযুক্ত কিষান মোর্চার অন্তর্গত কৃষকদের কয়েকটি সংগঠন আসন্ন পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে (Punjab Assembly Election 2022) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকেই মোর্চার অন্দরে ফাটল তৈরি হতে শুরু করেছিল। আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল দুটি শিবির। একটি শিবির, যারা নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চায়। অন্য শিবিরটির মত, প্রত্যক্ষ রাজনীতি নয়, আন্দোলনের মাধ্যমেই নিজেদের দাবিদাওয়া আদায় করা হবে। এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। স্থির হয়েছে, যে কৃষক ইউনিয়নগুলি পঞ্জাবের ভোট ময়দানে নামবে, সেগুলির সঙ্গে সংযুক্ত কিষান মোর্চার আর কোনও যোগ থাকবে না। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। দীর্ঘদিন ধরে এক ছাতার তলায় যে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন কৃষকরা, এবার তাতে ফাটল আরও সুস্পষ্ট হল।
পঞ্জাবের ভোট ঘিরে ফাটল সংযুক্ত কিষান মোর্চায়
শনিবার সিংঘু সীমান্তের কোন্ডলি এলাকায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারা সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার জন্য চাপ বাড়াতে জানুয়ারিতে তিন দিনের জন্য উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি যাবেন বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকাইত। কৃষক নেতা যুধবীর সিং বলেন, “টিকাইত জেলে যাওয়া কৃষক এবং নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। যদি কোনও অগ্রগতি না হয়, তাহলে কৃষক সংগঠনগুলি লখিমপুরে অবরোধ করতে পারে।” যুধবীর সিং আরও বলেন, পঞ্জাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে একমত নয় সংযুক্ত কিষান মোর্চা এবং তারা এই নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাঁর বক্তব্য, “যেসব সংগঠনগুলি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তারা আর সংযুক্ত কিষান মোর্চার অংশ নয়। আমরা চার মাস পর সংযুক্ত কিষান মোর্চার বৈঠকে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
সংযুক্ত কিষান মোর্চার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে যাদের
একই কথা বলছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার আরও এক নেতা জোগিন্দর সিং উগরান। তিনি বলেন, “সংযুক্ত কিষান মোর্চার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।” মোর্চার দুই বিশিষ্ট নেতা গুরনাম সিং চাধুনি এবং বলবীর সিং রাজেওয়াল, যারা দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক বছর ব্যাপী কৃষক বিক্ষোভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন, তাঁরা এবার পঞ্জাবের ভোট লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন। চাধুনি ইতিমধ্যেই তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। অন্যদিকে বলবীর সিং রাজেওয়ালের নেতৃত্বে একাধিক কৃষক সংগঠনের যৌথ সংগঠন সম্মিলিত সমাজ মোর্চা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করেছে।