UP Elections : যোগীরাজ্যের দখল ধরে রাখতে উন্নয়নের পাশাপাশি ‘হিন্দুত্বের তাসে’ বাজি রাখছে বিজেপি

Bharatiya Janata Party in Uttar Pradesh: বিজেপি আবার উত্তর প্রদেশের 'রাজা' হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং যোগী সরকারের আমলে করা 'ডবল ইঞ্জিন'-এর উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা এবং হিন্দুত্ব কার্ডকে তার নির্বাচনী অস্ত্র (ইস্যু) হিসাবে কাজে লাগাতে শুরু করেছে।

UP Elections : যোগীরাজ্যের দখল ধরে রাখতে উন্নয়নের পাশাপাশি 'হিন্দুত্বের তাসে' বাজি রাখছে বিজেপি
বসিরহাটের ১০টি ওয়ার্ডে মনোনয়নই জমা দিতে পারল না বিজেপি প্রার্থীরা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2022 | 7:12 PM

লখনউ : উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) দিন যত এগিয়ে আসছে, তত তপ্ত হচ্ছে পরিবেশ। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। রাজনীতির পরতে পরতে নতুন মোড়। দলবদল। সবই চলছে। আর এরই মধ্যে চলছে ঘুঁটি সাজানোর কাজ। এবারের নির্বাচনে বিজেপি (BJP) আবারও ক্ষমতায় ফেরার জন্য নির্বাচনী ময়দানে নামছে। অন্যদিকে, বিজেপিকে হটিয়ে নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়ছে অন্য দলগুলি। সপা তার আমলে করা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং পুরানো পেনশন ব্যবস্থা এবং জাতপাতের ইস্যু দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইরকমভাবে মায়াবতীর আমলে শাসন ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভোট চাইছে বিএসপিও। এই সবের মধ্যে, বিজেপি আবার উত্তর প্রদেশের ‘রাজা’ হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং যোগী সরকারের আমলে করা ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা এবং হিন্দুত্ব কার্ডকে তার নির্বাচনী অস্ত্র (ইস্যু) হিসাবে কাজে লাগাতে শুরু করেছে। মাঠে ময়দানে থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া – সর্বত্রই সেই ছাপ ফেলছে বিজেপি।

গত নির্বাচনেও হিন্দুত্ব ইস্যু বিজেপির জন্য লাভজনক হয়েছে

উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ‘হিন্দুত্বের তাস’ বিজেপির জন্য যথেষ্ট উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়েই বিজেপি ২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে এসেছিল। অতীতেও এমন উদাহরণ রয়েছে। এর আগে বিজেপি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ১৯৯১ সালে এবং ১৯৯৭ সালে উত্তর প্রদেশে সরকার গঠন করেছিল। TV9 ভারতবর্ষে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক সীতারাম পান্ডে জানিয়েছেন, “হিন্দুত্ব কার্ড উত্তরপ্রদেশে বিজেপির কাছে নতুন নয়। বরং নির্বাচনে জেতার এটাই পুরনো ফর্মুলা। এবার যখন কৃষকদের অসন্তোষের বিষয়টি উঠে আসছে, একই সঙ্গে যুবকদের বেকারত্বের বিষয়টিও বিজেপিকে ভাবিয়ে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের সাহায্যে বিজেপি সফল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।”

উন্নয়নের খতিয়ান

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ফের একবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বিজেপি অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ, কাশী বিশ্বনাথ করিডর, জেওয়ার বিমানবন্দর, নয়ডা ফিল্ম সিটি এবং গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মতো ইস্যুগুলির উপর ভিত্তি করে ভোট চাইছে। তাই একই সময়ে বিজেপি ৮০ বনাম ২০-র লড়াই এবং অভিবাসন ইস্যুকেও হাতিয়ার করছে। সেই মতো মাঠে ময়দানে থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। এর আগে, অনেক শীর্ষ বিজেপি নেতা অনেক ফোরাম থেকে “অভি মথুরা বাকি হ্যায়”-র মতো স্লোগান দিয়েছেন। বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলীপ অগ্নিহোত্রী TV9  ভারতবর্ষকে জানিয়েছেন, “পশ্চিম উত্তর প্রদেশে অভিবাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপির জোর প্রচার এই মেরুকরণের জায়গাটিকে আরও ভাল করে তুলে ধরেছে।”

আরও পড়ুন : UP Election 2022: ‘পাকিস্তানের সমর্থক, জিন্নাহর পূজারী’ অখিলেশকে কড়া আক্রমণ যোগীর