Pathaan BTS Secret: পিৎজ়ার টোপ ফেলে শাহরুখকে দিয়ে এ কী কাজ করিয়ে নিলেন ‘পাঠান’ কোরিওগ্রাফার?
Pathaan: শাহরুখের সেই টোন্ড ফিগার দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছিল নানা প্রশ্নও। অনেকেই এই ফিগারকে গ্রাফিক্স বলে উল্লেখ করেছিলেন।
‘’ টানা ৪ বছরের বিরতি। শাহরুখ খানের শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি জিরো। বিপরীতে অভিনয়ে ছিলেন অনুষ্কা শর্মা, তবে এই ছবি বক্স অফিসে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। এক কথায় ‘জিরো থেকে হিরো হয়েই বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কিং খান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ইচ্ছেপূরণ ২০২৩-এ। মুক্তি পায় ‘পাঠান’। তবে গত এক বছর ধরেই ‘পাঠান’ লুক ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজেই কিং খান জানিয়ে ছিলেন, যে তিনি ঠিক কোন লুকে এই ছবিতে ধরা দেবেন। লুক প্রকাশ্যে পাল্টা বাজিও ধরেছিলেন শাহরুখ খান, মন্তব্য করেছিলেন শাহরুখকে আটকে রাখলেও পাঠানকে কীভাবে আটকাবেন! শাহরুখের সেই লুক ছবি মুক্তির পর যেন আরও বেশি করে চর্চা। ‘বেশরম রং’ ছবিতে তাঁর ফিগার দেখে ভক্তদের চক্ষু চড়ক গাছ। এও সম্ভব! বয়স যেন একটি সংখ্যা মাত্র।
শাহরুখের সেই টোন্ড ফিগার দেখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছিল নানা প্রশ্নও। অনেকেই এই ফিগারকে গ্রাফিক্স বলে উল্লেখ করেছিলেন। সকলের ভুল ভাঙতেই প্রকাশ্যে আসেন ঝুমে যো ‘পাঠান’ গানের কোরিওগ্রাফার বস্কো। একটা সময় ‘ওম শান্তি ওম’ ছবি করতে গিয়ে এই প্যাক-এর জন্যই রীতিমত ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ‘ও হাসিনা ও নীলম পরী…’ গানে শাহরুখকে দেখে এক কথায় সকলেই প্রবল সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সিক্স প্যাক নয়, শাহরুখের তো ফ্যামিলি প্যাক। তাঁদেরই এবার যোগ্য জবাব দিলেন কিং খান। তবে শাহরুখ খান মোটেও এই ফিগারের প্রচার করতে রাজি ছিলেন না। এক প্রকার লজ্জাই পেতেন সেটে শার্ট খুলে পোজ় দিতে। তবে বস্কো কীভাবে পেরেছিল শাহরুখকে রাজি করিয়ে সেই ছবি তোলাতে?
এতদিনে রহস্য হল ফাঁস, শাহরুখ খান মোটেও রাজি ছিলেন না প্রাথমিকভাবে। ছবির সেটে পিৎজ়া-তে মগ্ন ছিলেন কিং। মনের মতো খাবার পেলে সকলেই বেশ খোশ মেজাজেই থাকেন। শাহরুখ খানও তার ব্যতিক্রম নন। ফলে বসকোর অনুরোধ আর তিনি ফেলতে পারেননি। যদিও মজার ছলে ব্যঙ্গ করে বস্কোর উদ্দেশে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘এই দৃশ্য কি সত্যি গানে নেই? তবে সকলের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, কীভাবে শাহরুখ খান নিজেকে এভাবে তৈরি করলেন?
View this post on Instagram
প্রশান্ত সাওয়ান্ত, গত ২৪ বছর ধরে এই ব্যক্তি শাহরুখ খানকে জিমে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন। তাঁর কথায় টানা ২ বছর ধরে চলেছে শাহরুখ খানের কঠোর পরিশ্রম। আগে কেবল বডি ফ্লেক্সিবল রাখার জন্য তিনি শরীরচর্চা করতেন। তাই খুব একটা কঠিন হত না। কার্ডিও সঙ্গে হালকা শরীরচর্চা থাকত নিত্যদিনের তালিকায়। এবার বিষয়টা উল্টো, কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে এই টোন্ড ফিগার পেতে। ওয়েট তোলা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ সময়টাই স্ট্রেনথের ওপর কাজ করা। তিনি স্পষ্টভাষায় জানান যে, এই শাহরুখ খান একেবারে নতুন, তাঁর লুক থেকে শুরু করে শরীরের ভাঁজ, সবটাই সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। পাঠান মুক্তিতেই যা প্রমাণিত।