Kiran Dutta-Mir: ‘দ্য বং গাই’ কিরণ দত্ত ছোটবেলায় শুধুই কার ছবি সংগ্রহ করে ডায়েরিতে জমাতেন?

Kiran VS Mir: তাঁকে দেখে কিরণ যতখানি স্টারস্ট্রাক হন, বরুণ ধাওয়ান কিংবা আলিয়া ভাটকে দেখেও হন না।

Kiran Dutta-Mir: ‘দ্য বং গাই’ কিরণ দত্ত ছোটবেলায় শুধুই কার ছবি সংগ্রহ করে ডায়েরিতে জমাতেন?
কিরণ এবং মীর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 3:35 PM

 

 

 

স্নেহা সেনগুপ্ত

গত বছর ৩০ জুন আরজে-র পেশা থেকে বিরতি নিয়েছেন রেডিয়োর ‘সকালম্যান’ মীর আফসর আলি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল লঞ্চ করবে ২৩ জানুয়ারি। এ খবরও নতুন নয়। তাঁর চ্যানেলটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত মীরের ভক্তরা। উচ্ছ্বসিত বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার ‘দ্য বং গাই’ কিরণ দত্ত। ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন কিরণ। সেখানে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, মীর তাঁর গুরু। কিন্তু এবার প্রশ্ন হল: ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ‘গপ্পো মীরের ঠেক’ শুরু করতে চলা মীর কি কিরণের প্রতিপক্ষ? এ ব্যাপারে TV9 বাংলাকে কী বললেন কিরণ?

প্রথমেই তুলে ধরা হল কিরণের ফেসবুক পোস্ট, যেখানে মীরের আসন্ন ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করেছেন ‘দ্য বং গাই’।

কিরণের ইউটিউব পোস্ট:
আমার হয়তো ইউটিউব চ্যানেল হত না, কেউ হয়তো নিজেকে কম ভেবে RJ হত না, কেউ হয় তো লেখক হত না, এরকম অনেক কিছুই হয়তো অনেকে হত না যদি ছোটবেলায় সুপারহিরোর মতো এই মানুষটা আমাদের জীবনে না আসত। কাঁধে হাত রেখে বলত ‘তুইও পারবি চেষ্টা করলেই’। এই মানুষটা আমায় মুগ্ধ করে, বারবার মনে হয় কী করে পারে? ক্লান্ত হয় না? বোধ হয় ক্লান্তির তার আগে ক্লান্তি চলে আসে। তাই আসতে পারে না। আমার আপনার মতো সাধারণ হয়েও কি অসাধারণ এই লোকটা। আমি নিজেকে খুব একটা কারও ভক্ত বলি না, এই মানুষটারও শুধু ভক্ত নিজেকে বলব না, বলব ছাত্র। কী শিখিনি বলুন তো! আমার মতোই লাখ-লাখ আরও ছাত্রের একটা গুরুদক্ষিণা দেওয়ার সুযোগ এসেছে। গুরুর নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেল—ওই কোনও ফি ছাড়া স্কুল বলা যায়। নীচে লিংক দিলাম (কারণ অনেক ফেক অ্যাকাউন্টও আছে একই নামে)। বাকিটা আপনার উপর।

এই পোস্ট দেখে TV9 বাংলা যোগাযোগ করে কিরণের সঙ্গে।

প্রশ্ন: পোস্ট দেখে স্পষ্ট হল যে, আপনার ইউটিউবার হওয়ার সাফল্যের পিছনে মীর আফসর আলির অবদান আছে?

কিরণ: একদমই আছে। আমি মীরদাকে প্রথম দেখেছিলাম ‘মিরাক্কেল’-এ। আমি নদিয়া জেলার ছেলে। অর্থাৎ, মফস্বলে বড় হয়েছি। সেখানে ঠিক মতো রেডিয়ো আসত না। ফলে আমার ‘মিরাক্কেল’, ‘খাসখবর’, ‘হাঁউ মাঁউ খাঁউ’-এর মতো টিভি শো-এর সৌজন্যেই মীরদাকে চেনা। পরবর্তীকালে অডিয়োতে ‘সানডে সাসপেন্স’-এর মতো শো শুনে আরও অনেকটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছি। হিউমর, লোককে হাসানোর শিল্প, সেটা করে যে কেরিয়ার দাঁড় করানো যায়, জানতামই না যদি এই মানুষটাকে না দেখতাম কিংবা শুনতাম।

প্রশ্ন: মীর তা হলে আপনার আইডল?

কিরণ: ছোটবেলা থেকে খুব কম মানুষকেই আমি অ্যাডমায়ার করি। সেই তালিকায় অবশ্যই মীর আফসর আলির স্থান শীর্ষে। আজ বলতে দ্বিধা নেই, আমি ছোটবেলায় মীরদার ছবি সংগ্রহ করতাম। আমার একটা ডায়েরি ছিল, যেখানে শুধু মীরদারই ছবি পেস্ট করে রেখেছিলাম।

প্রশ্ন: ও বাবা, তাই নাকি?

কিরণ: হ্যাঁ আমি অন্য কারও ছবি কাটতাম না। কেবল মীরদার ছবি কেটে-কেটে পেস্ট করে রাখতাম।

প্রশ্ন: প্রথম পরিচয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?

কিরণ: খুবই অদ্ভুত বিষয় জানেন তো। মুম্বইয়ে ফেসবুকের একটি ইভেন্ট হয়েছিল। বাংলা থেকে Foodka-র জন্য মীরদার টিম এবং আমি, এই দু’জন কনটেন্ট ক্রিয়েটারই সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল এই তো দেখা হওয়ার সুযোগ। না হলে একা কিছু সময় কাটানোর সুযোগ তো জীবনেও পাওয়া যাবে না। আমি এখন একটু-আধটু কথা বলতে পারি। তখন একদমই পারতাম না। এক্কেবারে ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। একই ফ্লাইটে, একই গাড়িতে যাওয়া-আসা করেছিলাম সে বার মীরদার সঙ্গে। কিন্তু সেই সাহসটা হয়নি যে, বলব তাঁকে আমি কতখানি অ্যাডমায়ার করি। আমার মনে হয় সেটা বলাও যায় না মন খুলে। এই স্টারস্ট্রাক বিষয়টা কিন্তু আমার বরুণ ধাওয়ান কিংবা আলিয়া ভাটের ক্ষেত্রে হয়নি, যেটা মীর আফসর আলিকে নিয়ে হয়েছিল। ভবিষতে হয়তো অরিজিৎ সিংয়ের ক্ষেত্রে হবে। তারপর দেখলাম মীরদা নিজেই কথা বললেন।

প্রশ্ন: পরে তো বলতে পেরেছিলেন মনের কথাটা নিশ্চয়ই?

কিরণ: হ্যাঁ, পরে একটা ইউটিউব লাইভ করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম।

প্রশ্ন: মীরের ইউটিউব চ্যানেল আসছে। আপনিও বাংলার টপ ইউটিউবার—গুরুর সঙ্গে টেক্কা কতখানি? মীরকে কি কোনওদিনও নিজের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে পারবেন?

কিরণ: মীরদার সঙ্গে কম্পিটিশন বিষয়টাই একটা বোকামি। আসলে যে কাজগুলো মীরদা করেন, আমি সেই ধরনের কাজ করি না। সুতরাং, সেখানে প্রতিযোগিতা থাকারই কথা নয়। সত্যি বলতে কী, বাংলায় বিভিন্ন জঁরে কাজ হলে আমার ভালই লাগে। আমার বিশ্বাস, মীরদা খুব ভাল কনটেন্ট তৈরি করবেন। সেটা তো আমাদেরই জয়।