Summer Season: বাড়ছে গরমের তীব্রতা, এই সময় ‘কুল’ ও ‘ফিট’ থাকতে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি মানতেই হবে
Stay Cool And Fit: ডায়েটে রাখুন নারকেল জলের মত প্রাকৃতিক পানীয়। যা খেলে শরীরের লবণ ও খনিজগুলি পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজ এই সময় খাওয়া খুবই ভাল।
মার্চ মানেই গরমের তীব্রতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া। গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি শারীরিক ক্রিয়াকলাপেরও পরিশ্রম শুরু হয়। ভারতের যে দমফাটা গরম পড়ে, তার জন্য অনেক আগে থেকেই শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। গ্রীষ্মের দিনগুলিতে কুল থাকতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস ফলো করতে হবে। তাতে আগামী কয়েক মাস আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
কী খাচ্ছেন, তাই দেখুন
ভারী খাবার, লাঞ্চ ও ডিনারের পরিবর্তে আপনার হালকা খাবার ও ছোট ছোট খাতে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন। ফাইবার সমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয়ে যায় এমন খাবারই বাজার থেকে কিনুন। যেসব খাবার মশালাদার বা খেলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেবে, তা এড়িয়ে চলুন। পেঁপে, অ্য়াপ্রিকট এড়িয়ে যাবেন। সবজির মধ্যে যেমন বেগুন, পেঁয়াজ, পালংশাক এছাড়া কিডনি বিন, বাদাম, রেড মিট এড়িয়ে চলুন। গরমের শুরুতেই আপেল, নাশপাতিস স্ট্রবেরি, শসা, ব্রকলি, লেটুস, মুগ কড়াই, বাটার মিল্ক ও দই খান ।
এছাড়া ডায়েটে রাখুন নারকেল জলের মত প্রাকৃতিক পানীয়। যা খেলে শরীরের লবণ ও খনিজগুলি পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজ এই সময় খাওয়া খুবই ভাল। প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে শীতল করতে সাহায্য করে।
হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন-
এই গরমে যত বেশি ঘামবেন, তত বেশি শরীরের জল জোগান দিয়ে যেতে হবে। সারা দিনে প্রচুর জল পান করা অনিবার্য। ওয়ার্ক আউট বা নিয়মিত যোগ-ব্যায়াম করলে সঙ্গে অবশ্যই জলের বোতল রাখুন। খুব ভাল হয় যদি ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করতে পারলে। নারকেলের জল এই সময় অত্যন্ত উপকারী পানীয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
হিট স্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশন হল মর্মান্তিক পরিস্থিতি। যদি কম জল পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার মোবাইলে একটি অ্য়াপ সেট করুন, যেটি প্রতি ঘণ্টায় আপনাকে অ্যালার্মের মত মনে করিয়ে দেবে যে এইবার আপনাকে এক গ্লাস জল খেতে হবে।
বাড়ির ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন
সকালের দিকে বাড়ির বাইরে যাবতীয় কাজ সেরে ফেলুন। কারণ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে। তাই ভুল করেও বাড়ির বাইরে বের হবেন না। তাতে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। প্রচণ্ড তাপ ও কঠোর সূর্যালোকের কাছে নিজেকে উন্মুক্ত করার ক্ষমতা না দেখানোঅ ভাল।
শুধু ডিহাইড্রেশনের ভয় নয়, বেশিক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকের ক্ষতি ও ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বাড়ির ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন। বাড়ির ভিতরেই নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। আর যদি ট্রেনারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই ওয়ার্ক-আউট করতে হয়, তাহলে রোদের তেজ কমে গেলে সন্ধ্যার পরে ৫ টা বা সাড়ে পাঁচটার পর বাড়ির বাইরে বের হোন।
সাপ্লিমেন্ট যখন বন্ধু
সূর্যের তাপকে এড়িয়ে চলার ফলে শরীরে ভিটামিন ডি উত্পাদের অভাব হয়। তাই শরীরের কোনও কিছুই যাতে ঘাটতি না থাকে, তার জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বি১২ ও ডি২ মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে। একটি সুস্থ মন ও শরীরের জন্য ভিটামিনের মাত্রার সমসময় সুস্থ রাখে।
একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন
গরমেও থাকুন ফিট ও স্লিম। তাই ওয়ার্কআউট করার সর্বোত্তম সময়গুলি হল সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়। এই দুটি সময়ের মধ্যে আপনার সুবিধা হবে, তা মেনে চলার চেষ্টা করুন। ওয়ার্ক আউট ছাড়াও শরীরের চাই সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম। একটি সুস্থ মন এবং শরীর হল খাদ্য, ব্যায়াম এবং ঘুমের সংমিশ্রণ। আপনার নিজের রুটিন তৈরি এবং বজায় রাখতে সাহায্যের প্রয়োজন হলে খাতায় নোট করে সেট করে নিন।