বসন্ত আসা মানেই ফুরফুরে বাতাস, গাছে গাছে রঙিন ফুল, গরমের শুরু আর সেই সঙ্গে একাধিক রোগজ্বালাকে আমন্ত্রণ জানানো। কোভিডের প্রকোপও শুরু হয়েছিল এই বসন্তেই। আর তারপর কেটে গিয়েছে তিনটে বসন্ত। বিশ্বই কার্যত গৃহবন্দি ছিল।
এবছর সব ভুলে মানুষ যখন আবার আগের মত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করছে তখন জাঁকিয়ে বসছে ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনোর মত ভাইরাস। গত তিন বছর হাম, পক্সের প্রকোপও অনেকটাই কম ছিল। তবে এইবার সেই সংখ্যা বেড়েছে। যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রাথমিক শর্ত হল ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলা।
আজকাল অধিকাংশ মানুষেরই ইমিউনিটি কম। এর কারণ আমরা দীর্ঘ সময় এসি ঘরের মধ্যে বসে কাজ করি। কোনও রকম শরীরচর্চা হয় না। সেই সঙ্গে ফাস্টফুড বেশি খাওয়া হয়। আর এই ফাস্টফুডের মধ্যে তেল, ক্যালোরি সবই বেশি থাকে। শরীরের জন্য কিন্তু এই সব খাবার একেবারেই ভাল নয়।
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে গেলে আগে হজম শক্তি ভাল করতে হবে। আয়ুর্বেদ তাই বলছে রোজ সকালে খালিপেটে আমলার জুস খেতে। এতে শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকবে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। আর হজমও ভাল হবে।
ঘুম থেকে উঠে আগে ২ টো খেজুর খেতে হবে। আর এই খেজুর দিয়েই দিন শুরু করুন। খেজুরের মধ্যে থাকে আয়রন-সহ প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ। এছাড়াও রোজ শুকনো ফল খান। এই সব ফলও শরীরের জন্য উপকারী।
অনেকেই ভাবেন ঘি খেলে ওজন বাড়ে। তবে আর্য়ুবেদ কিন্তু তা বলছে না। রোজ গরম ভাতে ঘি খান। এছাড়াও ঘি, গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে চিঁড়ে ভেজে খাওয়া যেতে পারে।
মুলেঠি, তুলসি পাতা, আদা, গুড়, কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ এসব দিয়ে রোজ চা বানিয়ে খান। ইমিউনিটি বাড়াতে এই চা খুব ভাল কাজ করে। এছাড়াও কফ জমে থাকলে তা দূর করে দিতেও কার্যকরী এই ভেষজ চা। এই চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই চায়ের অ্যান্টি ইফ্ল্যামেটরি গুণও আছে। যা যে কোনও রকম ইনফেকশন দূরে রাখে।